
নাঈম আহমদ, রাজনৈতিক প্রতিবেদক ::: যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবিদা ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে মানবাধিকার সংগঠন ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস, রাইট অফ দ্যা পিপল ও ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর আবিদা ইসলামকে অবিলম্বে যুক্তরাজ্য থেকে প্রত্যাহার করা না হলে কমিউনিটি ক্ষোভ আরও বাড়বে। এর দায় নিতে হবে বর্তমান সরকারকে।
রাইটস অফ দ্যা পিপলের সভাপতি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান সাফির সভাপতিত্বে ও ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজা এবং রাইটস অফ দ্যা পিপলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- ই আর আইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল নওশীন মোস্তারি মিয়া সাহেব, ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম লোকমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলাল খান, সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, শেরওয়ান আলী, ই আর আইয়ের সহ-সভাপতি উসমান গনি, রাইটস অফ দ্যা পিপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম আনহার, স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাইটস অফ দ্যা পিপল যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানাউর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কুদ্দু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সহ সাধারণ উজ্জ্বল আলম চৌধুরী, সিনিয়র সদস্য বাচ্চু মিয়া, নিজাম উদ্দিন, রফিক আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন চৌধুরী সাকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, ই আর আইয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি শাহিন আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ মিলাদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম রাব্বি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফজল আহমেদ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি রুহুল আমিন তোফায়েল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল আলিম, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি সায়েম আহমদ রাইটস অফ দ্যা পিপলের প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম লস্কর, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমেদ, প্রচার সম্পাদক জামিল আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক রানু মিয়া সিনিয়র সদস্য রুমেল আলি, স্টেন্ড ফর হিউমেন রাইটসের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ভার-প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল,সহ-প্রচার সম্পাদক মিনহাজ হক, সহ প্রচার সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহকারী সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনা ইসলাম তানিয়া,সদস্য সৈয়দ আশরাফুল আলম পিন্টু, জাকারিয়া আলি, রেজাউল করিম রাব্বি, ইউসুফ মিয়া, আসরাফুল আলম, আল আমিন মিয়া, ইমন আলী, মনির হুসেন, রুমন আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, আমিন আকবর, জুনায়েদ আহমদ, আব্দুল আজীম, আরিফ হোসেন, আশরাফুল আলম শামীম, হোসাইন আহমদ, শাহ্ রুমন আহমদ, মো ফজল আহমদ, রফিক মিয়া, আল আমিন মিয়া, কাইয়ুম লায়েক, নাজমুল আহমদ, আব্দুল হক, আমিন কবির সোহাগ, লায়েক আহমদ, সাইফুর রহমান, আরিফ হোসেন, সিরাতুল ইসলাম আবির, শিব্বির রহমান শাবাব, ফজল আহমদ, গোলাম ফারাবী আহমদ আলিফ, নাহিদ আহমেদ চৌধুরী, ফাহমিদ আহমদ, শাহ মোহাম্মাদ রুমন, গালিব আল সুয়েব, ফাহমিদা আক্তার ইপা, রাহমান ইমন, আদিল আহমদ, রিজভী উদ্দিন আহমেদ ও আবুল হায়াত।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, এই আবিদা ইসলাম ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী। আবিদা ইসলাম মেক্সিকোতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার থাকাকালীন সময়ে নিজ পকেট থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দূতাবাসের সামনে মুজিবের মূর্তি স্থাপন করেন যাতে করে তিনি আওয়ামী ও হাসিনার অনুগ্রহতা দেখাতে পারে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন, আগস্ট বিপ্লবের প্রথম সপ্তাহে শেখ মুজিবের আত্মজীবনী বই ১০ লাখ টাকা খরচ করে কয়েক হাজার বই স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত করেন, ৫ আগস্টের পরে তিনি অফিসে অনিয়মিত হয়ে পরেন এবং সরকারি সব কাজ বাসায় বসে করেন, আবিদা ইসলাম কে ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন তার এক সময়ে বয়ফ্রেন্ড মাহবুব হাসান সালেহ তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন, এই সালেহ আবার বর্তমান উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বন্ধু তারা একসাথে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন, সালেহ তৌহিদ হোসেনকে রিকুয়েস্ট করে তার বান্ধবী আবিদা ইসলামকে লন্ডনে পোস্টিং করিয়ে দেন, সালেহ এবং আবিদা ইসলাম মিলে শেখ হাসিনাকে লন্ডনে আশ্রয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যাতে ব্রিটিশ সরকার অবস্থান নেয় সেই মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য আবিদা ইসলামকে হাইকমিশনার পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এজন্য আবিদা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন বক্তারা।