• ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কমিশনার বরাব স্মারকলিপি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কমিশনার বরাব স্মারকলিপি

সিলেট নগরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানজট, হকার সমস্যার সমাধান এবং সাম্প্রতিক স্বর্ণ চুরির ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার নেতৃত্বে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট নগরীর ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। করোনাকালীন কঠিন সময় পেরিয়ে আসার পর থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে আশানুরূপ উন্নতি করতে পারছেন না। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের পদক্ষেপে তারা আশার সঞ্চার অনুভব করছেন এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কার্যকর সমাধানের প্রত্যাশা করছেন। সম্প্রতি (৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে আল-হামরা শপিং সিটির নূরানী জুয়েলার্সে ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা নিয়ে স্মারকলিপিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চুরির ফলে কয়েক কোটি টাকার স্বর্ণ খোয়া গেছে এবং দোকান মালিক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা চুরির সুষ্ঠু তদন্ত, অপরাধীদের গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধারে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা আরো জানান, পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনায় প্রশাসনের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। সারা বছরের মন্দা কাটিয়ে উঠতে দুই ঈদে তারা অধিক পুঁজি বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু নগরীর যানজট, হকার সমস্যাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কে অবৈধ হকারদের কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসন বার বার অভিযান চালিয়েও হকারদের পুনরায় ফুটপাত ও রাজপথ দখল করা ঠেকাতে পারছেন না।

ব্যবসায়ীরা হকারদের নির্ধারিত লালদিঘীরপাড় এলাকায় পুনর্বাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এদিকে নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড এবং ফুটপাত জুড়ে হকারদের কারণে সিলেট শহর ক্রমেই যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এতে নাগরিকদের চলাচল ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তারা অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড অপসারণ এবং সড়কগুলোকে দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ চান।

এছাড়াও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সিলেট শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনের প্রয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার মহাসচিব ও মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান ও আব্দুল মুনিম মল্লিক মুন্না, ১ম যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হাদী পাবেল, যুগ্ম মহাসচিব ফায়েক আহমদ শিপু, সাংগঠনিক সচিব নিয়াজ মো. আজিজুল করিম, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুর রহমান, সদস্য জহিরুল ইসলাম, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মুফতি নেহাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আহাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলেক মিয়া, অর্থ সম্পাদক মো. কয়ছর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক মিয়া, সিলেট ট্রেড সেন্টার ভেজিটেবিল মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ছাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, নূরানী জুয়েলার্সের মো. জাবেদ চৌধুরী, কুমারপাড়ার নাসের আহমদ, কাকলী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাকারিয়া ইমরুল, পূর্ব দরগাহ গেইট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, কুমারপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিতাই পাল, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সিলেট জেলার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার রায়, কোষাধ্যক্ষ রতন দে, হাজী নওয়াব আলী মার্কেটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আফরোজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. বুরহান উদ্দিন, বৃহত্তর মদিনা মার্কেটের সদস্য সচিব মো. ফয়জুল হক, আল-হামরা শপিং সিটির মো. সামুল আলম, জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, জেরা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মটরপার্টস সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম,
সিলেট মিলেনিয়াম মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক, লন্ডন ম্যানশনের সভাপতি মো. গোলজার খান, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, মিতালী ম্যানশনের সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী, লালদিঘিরপার পুরাতন হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আহমদ, শ্যামলী মার্কেটের আক্তার হোসেন, নিউ শ্যামলী শপিং সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু মিয়া, নয়াসড়ক বিজনেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহমিদুল হাসান জাবেদ, সিলেট জেলা স্বর্ণ শিল্পী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাত্তিক দত্ত, মিতালী ম্যানশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটির সভাপতি ওলিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী সানি, আব্দুল করিম, নেহার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, আল হামরা শপিং সিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সিটি সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রজব, কোষাধ্যক্ষ রুমেল আহমদ, বাজুসের অফিস সচিব দেবাশীষ রায়, মিলেনিয়াম মার্কেটের শামসুল ইসলাম, বিসিক মালিক সমিতির নুরুল ইসলাম সুমন, প্লাজা মার্কেট জু.স.মি. এর সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জাকির, সিলেট প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ, মহাজন পট্টির আজিজুর রহমান হাজী নজির হোসেন প্রমুখ।