• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রেসিডেন্টকে আর চায় না দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীনরা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
প্রেসিডেন্টকে আর চায় না দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীনরা

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সতর্ক করেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে পারে। তাই, তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানান।
খবর বিবিসির

পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান দুং-হুন গতকাল শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রবিরোধিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তার সঙ্গে বিকেলে প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানায় বিবিসি। তবে নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। বিবিসি সর্বশেষ খবরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যেকোনো সময় জাতীয় সংসদে পৌঁছাতে পারেন। প্রবেশদ্বারে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় রয়েছে। আর ভেতরে বিরোধী সদস্যরা অভিশংসনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।

ক্ষমতাসীন দল প্রেসিডেন্টের অভিশংসন আটকে দেবে, প্রথমে এমনটি বললেও এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন হান দুং-হুন। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে।

মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৯০ জন সংসদ সদস্য দ্রুত সংসদে ঢুকে ভোট দিয়ে সামরিক আইন বাতিল করেন।

শুক্রবার হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ইউন ক্ষমতায় থাকলে তিনি ফের সামরিক আইন জারি করার মতো চরম পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার জনগণের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।

হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে, গ্রেপ্তার বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল।

তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল, খন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের পার্লামেন্ট সদস্য চো কিয়ুং-তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করি পিপলস পাওয়ার পার্টির সব রাজনীতিবিদ জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবেন।

সিউলে টানা দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট ইউনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভের বিষয়ে তদন্ত করছে।

স্থানীয় জরিপকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েলমিটারের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ জনের মাঝে সাতজনের বেশি দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে।

অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে ২০০ ভোট প্রয়োজন। বিরোধীদের হাতে ১৯২টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ, প্রস্তাব পাস করার জন্য তাদের ক্ষমতাসীন দল থেকে মাত্র আটজনের ভোট প্রয়োজন। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।