ফেলে দেওয়া ছাঁট কাপড়ের টুকরো দিয়ে তৈরি হচ্ছে তুলা। সেই তুলা দিয়ে বানানো হচ্ছে লেপ-তোষক, বালিশ, জাজিম। এগুলো বিক্রি করে মাসে উপার্জন করছেন ৩ লাখ টাকা। আর এ কাজ করে পরিবার চালাচ্ছেন অনেক বেকার।
সিলেটের বড়ইকান্দি এলাকার ব্যাবসায়ী মো. শাহাজাহান মিয়া। বাবার দেখানো ব্যবসা ছাঁট কাপড়ের টুকরো দিয়ে তুলা তৈরি করছেন প্রায় ৫ বছর ধরে। এক লাক্ষ টাকা পুজি নিয়ে শুরু করা এ ব্যবসা লাভজনক হওয়ার খুশি তিনি।
টেলারিংয়ের দোকানে কাপড়ের টুকরো বা অন্যান্য রেডিমেড পোশাক কারখানার বাতিল কাপড়ের ছোট টুকরো ঢাকা থেকে কিনে এনে তৈরি করছেন এ তুলো। শিমুল বা কাপাস তুলোর অনেক দাম। অনেকেই লেপ-তোষক, বালিশ সোফাতে ব্যবহার করতে পারেন না।কিন্তু এ ধরনের ছাঁট কাপড় থেকে উৎপাদিত তুলো কম দাম হওয়ার জন্য তা লেপ-তোষকে ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে। সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় এগুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে।
এ তুলো দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে মাসে উপার্জন করছেন ৩ লাখ টাকা। কারখানায় কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেক বেকারের। কেউবা দৈনিক মজুরি কেউ সাপ্তাহিক আর কেউ মাসিক বেতনে কাজ করেন।
সল্প মূল্যে লেপ তোষকে কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারাও। কমবেশি সারাবছর চাহিদা থাকলেও শীত এলেই বেড়ে যায় চাহিদা।
বর্তমানে ২ টি মেশিনে ১২ জন কাজ করছেন এ কারখানায়। সঠিক ভাবে পরিচালনা করা গেলে এখানে আরও বেকারদের কাজ করার সুযোগ হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।