হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা গ্রামের শাহরীন তাসনীম ঐশি। লেখপড়া করে বড় কিছু করার স্বপ্ন। ৬ ভাই বোনের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী পিতা। অনেক কষ্ট হলেও সন্তানদেরকে বুঝতে দেন না। পিতার এই কষ্ট লাগবে এবার অবদান রাখতে পারবে সেলাই প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে পাওয়া সেলাই মেশিন। একই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের তাহমিনা আক্তার হ্যাপিও বিনামূল্যে সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দিত। এখন আমরা স্বপ্ন দেখতে পারব। ঘরে বসে থাকতে হবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে কঠিন জীবন সংগ্রামে থাকা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সীমিত আয়ের ২০টি পরিবারকে স্বপ¦ দেখিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের তিনমাস ব্যাপি সেলাই প্রশিক্ষন ও বিনামূল্যে পাওয়া সেলাই মেশিন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল।
বক্তব্য রাখেন কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান, শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, মনোহরদী কলেজের প্রভাষক কামরুল ইসলাম, নিউজ টোয়েন্টিফোর জেলা প্রতিনিধি শ্রীকান্ত গোপ, শুভ সংঘ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জনি আহমেদ রাজু, সাধারন সম্পাদক আফহজাল হোসাইন রনি, নাছির হোসাইন, সৌরভ মিয়া, প্রশিক্ষণার্থী তাহমিনা আক্তার হ্যাপি ও প্রশিক্ষণ জহুরা নাজরীন খান রিনা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, প্রশিক্ষনের সাথে বিনামুল্যে সেলাই মেশিন দেয়ায় পিছিয়ে পড়া নারীরা এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে। শুধু প্রশিক্ষণ দিলে তার ফলাফল ভাল হত না। এই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন দরিদ্র নারীদের জীবন পরিবর্তন হলে তা হবে বসুন্ধরা গ্রুপের স্বার্থকতা। বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় নিপিড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের অর্তনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার। করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে এই গ্রুপ যেভাবে কাজ করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।