সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙে আবারও একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক উঠলে সেতুর লোহার পাটাতন ভেঙে নিচে পড়ে গেলে সেতুটিতে ট্রাক আটকে যায় ফলে এ রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মহাসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছাগাওঁ নামকস্থানে স্টিলের বেইলি সেতু পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ।
গত বছরের আগষ্ট মাসে এই কাটাগাাঙের বেইলি সেতু ভেঙে দুই জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয় প্রায় সময়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি- ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় জগন্নাথপুর অংশের ইছগাঁও কাটাগাঙ্গের স্টিলের বেইলি সেতুতে সিমেন্ট বুঝাই ট্র্ক উঠলে সেতুর ৪-৫টি লোহার পাটাতন খুলে নিচে ভেঙে পড়ে। এবং ট্রাকটির পিছনের অংশ দেবে গিয়ে সেতুর ওপর আটকে যায়। ফলে এ সেতু দিয়ে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।
এদিকে সেতুতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদী পারাপারে জনপ্রতি ১০ টাকা দিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন যাত্রীসাধারণ।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে সড়ক ও সেতু বিভাগের লোকজন কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ব্রীজটি যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুতে নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের পর ডিজাইনের কাজ চলছে। এরপর দরপত্র আহবান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৎসর সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ইছগাঁও এলাকার কাটাগাঙ্গ বেইলি সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে ট্রাকের চালক ওমর ফারুক ও হেলপার জাকির হোসেন নিহত হন। এরপর মাসখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে চালু করা হয়েছিল।