• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক যুবলীগ নেতা কামরান আহমদের বাড়ীতে বিএনপি ও ছাত্রদলের হামলা : হামলায় গুরুতর আহত ছোট ভাই ফারহান আহমদ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০২৪
সাবেক যুবলীগ নেতা কামরান আহমদের বাড়ীতে বিএনপি ও ছাত্রদলের হামলা : হামলায় গুরুতর আহত ছোট ভাই ফারহান আহমদ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে সিলেটে যুবলীগ নেতা কামরান আহমদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। রোববার রাত ৮ টার দিকে সিলেট নগরীরর ২৯ নং ওয়ার্ডের ধরাধরপুর গ্রামে কামরান আহমদের বাড়ীতে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হামলায় গুরুতর আহত হন কামরানের ছোট ভাই ফারহান আহমদ। এলাকাবাসী জানান, সিলেট নগরীর বিএনপি ও ছাত্রদলের অন্তত ১০/১৫ জন কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা কামরান আহমদকে না পেয়ে ছোট ভাই ফারহান আহমদকে ব্যাপক মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে প্রতিটি কক্ষ ভাঙচুর করে। ঘরের ভেতরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, এসি ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে কামরান আহমদের পরিবার থেকে জানানো হয়, গতকাল ১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় শহিদ নূর হোসেন স্বরনে ও অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সিলেটেও আওয়ামীলীগ বিশাল মিছিল বের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা কামরান আহমদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ৫ লাখ টাকার সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফারহান আহমদকে মারধর করে রক্তাক্ত করে তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তারা কামরান আহমদকে বাসায় পেলে প্রাণে হত্যা করতো। এমন পরিকল্পনা নিয়েই বিএনপি ও ছাত্রদল ক্যাডাররা তার বাসায় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
ঘটনা জানার পরপরই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর ধরাধরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একটি টিম সেখানে গেছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’