স্টাফ রিপোর্টার : আগষ্ট বিপ্লবে মৌলভীবাজারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ০৮-০৯-২০২৪ ইংরেজী তারিখ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম। মামলায় বিএনপি নেতা এম নাসের রহমানের নাম উল্লেখপূর্বক ৭জনকে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়। মামলা নং ৭। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় গত ৪ আগষ্ট বাদী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৌলভীবাজার চৌমোহনা পয়েন্টে দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি নেতা এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা ৩ঘটিকার দিকে মিছিলটি স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে অবস্থান করে। বিক্ষোভ শ্রোগান চলাকালে এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালায়। ব্যাপক ভাঙচুরের পর ওই অফিসে অগ্নিসংযোগ করে এবং সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনে হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ তাদেরকে প্রতিহত করার চ্ষ্টো করে। কিন্ত মিছিলকারীদেরকে কোনোভাবে থামানো যা্িচছল না। মিছিল থেকে ইটপাটকেল ,ককটেল নিক্ষেপ শুরু হলে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় ২ প্লাটুন পুলিশ হামলাকারীদের নিভৃত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে পুলিশ লাটিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ওই সময় নাসের রহমানসহ বেশ কয়েকজন আগ্নেয়াস্থ্র উচিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলিতে মৌলভীবাজার সদর উচ্ছ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ইফতেখার আহমদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওই সময় পুলিশের ভ্যানে করে ইফতেখারকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ইফতেখার মৌলভীবাজার শাহ মোস্তাফা এলাকার আলা উদ্দীনের ছেলে। ওইদিনের ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। মামলার আসামীরা হলেন-এম নাসের রহমান (৫০) পিতা: মরহুম এম সাইফুর রহমান সাং বাহার মর্দন, মৌলভীবাজার।আব্দুল বারি (৩৫) পিতা: সোহাগ মিয়া, সাং শাহ মোস্তফা (৩) মিজানুর রহমান (২৭) পিতা: আব্দুল হান্নান সাং বেকামুড়া দক্ষিণ (৪) এলাইছ মিয়া (২৮) পিতা: আব্দুস সালাম সাং ১৭/৮ কুসুম বাগ (৫) লিটন য়িয়া (৩০) পিতা: জাবের মিয়া সাং বাহার মর্দন (৬) লিয়াকত শাহ (২৯) পিতা: আব্দুল জলিল সাং বেকামুড়া (৭) বেলাল আহমদ (২৪) পিতা: রমজান মিয়া সাং বেকামুড়া সর্ব থানা ও জেলা মৌলভীবাজারসহ অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০ জন আসামী।