
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর সোনাপাড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ধর্ষিতার পিতা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং- ১০, জিআর নং ১০/২০২১ ইং, তারিখ: ০৯/০১/২০২১ ইং। মামলার আসামীরা হলেন- সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানার সোনারপাড়া এলাকার মনসুর মিয়ার পুত্র মো: পাপ্পু মিয়া, একই এলাকার রফিক মিয়ার পুত্র দিপু ও আলী হাসানের পুত্র পিয়াল হাসান। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রব খান। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর সোনাপাড়ায় জসিম উদ্দিন তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ৫ বছর ধরে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করছেন। এলাকার চিহ্নিত বখাটে পাপ্পু মিয়া, দিপু ও পিয়াল হাসানও ঐ সোনাপাড়ায় থাকে। জসিম উদ্দিন নগরীর বন্দরবাজারে একটি দোকানে কাজ করেন। স্ত্রীও পাড়ার একটি বাসায় কাজ করেন। তাই স্বামী-স্ত্রী কাজে যাওয়ার পর মেয়েকে একা বাসায় থাকতে হয়। মেয়ে সাবিনা বেগম (১২) সিলেট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। উক্ত বখাটে পাপ্পু মিয়া, দিপু ও পিয়াল হাসান প্রায় সময় জসিম উদ্দিনের বাসার পাশে ঘুরাফিরা করে এবং তার মেয়েকে উত্যক্ত করে। এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন তাদেরকে নিষেধ দিলে আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। প্রাণে হত্যা সহ মেয়েকে গুম করে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে। ঘটনার তারিখ গত ২ জানুয়ারি সকালে জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী কজে চলে গেলে সাড়ে ৯টার দিকে আসামীগণ কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সাবিনা বেগমকে ধর্ষণ করে। সাবিনার কান্না শুনে প্রতিবেশি হেলাল উদ্দিন, রুবেল আহমদ ও জাবির আহমদ সহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সাবিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ৮ জানুয়ারি তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গতকাল ৯ জানুয়ারি সাবিনার পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উক্ত মামলা দায়ের করেন।