ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর
সিলেটে গ্রেফতার আতঙ্কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন
সিলেট বিভাগের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেক নেতারা।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, অন্তত কয়েক শ নেতাকর্মী সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছেন। তবে যারা দেশ ত্যাগ করতে পারেননি বা যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদেরকে একের পর এক গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী। ফলে তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক আরো বেড়েছে।
সরকার পতনের পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় প্রায়ই গ্রেফতার করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন জেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে।
এর মধ্যে সুনামগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মামলার আওয়ামী লীগের ১৫ জন ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের অভিযানে পৌর ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে, রবিবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷
আসামিদের মধ্যে সিআর পরোয়ানাভুক্ত ২ জন, সাজা পরোয়ানাভুক্ত ২ জন, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে-৮ জন (সদর-৬, বিশ্বম্ভরপুর-২), বিশেষ ক্ষমতা আইনে-৩ জনসহ মোট ১৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
এদিকে রবিবার (৭ অক্টোবর) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে পৌর ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুলাউড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জনি, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিরা মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রিপন বখশ ও রকি হাসান রিংকু। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।