সরকার দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত বাসার মালিক (বাঁ থেকে) মোঃ গোলাম ছোবহান, তার স্ত্রী (মাঝে) নাজিমা আক্তার নাজিমা ও পুত্র (ডানে) আবু তাহের জনি।
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওস্থ শেখপাড়ায় মূল্যবান একটি বাসা জবর দখলের করতে গিয়ে সরকার দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি আঘাতে বাসার মালিক মোঃ গোলাম ছোবহান (৬৬), তার স্ত্রী মোছাঃ নাজিমা আক্তার নাজিমা (৫১) পুত্র আবু তাহের জনি (২১)কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তারা সকলেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাদের আর্ত-চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে দ্রæত সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মোঃ গোলাম ছোবহানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলাধীন মীর্জারগাঁও-এর বাসিন্দা মোঃ গোলাম ছোবহানের কুমারগাঁও শেখপাড়া মূল্যবান বাসাটি দখলের নিমিত্তে স্থানীয় কাউন্সিলার ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিধান কুমার সাহা দীর্ঘদিন যাবৎ জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় তার লালিত-পালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাসার মালিকসহ তার ভাড়াটিয়াদেরও ভয়-ভীতি দেখানো হয়। এর আগেও বিগত ২০১৮ ইংরেজী সনে বাসা মালিক পক্ষের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাসার মালিক মোঃ গোলাম ছোবহানের পুত্র মোঃ আবুল হাসনাত সানী জালালাবাদ থানায় একখানা জিডি এন্ট্রি দায়ের করার পর থেকে এসব সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বাসার মালিক মোঃ গোলাম ছোবহান ও তার স্ত্রী সহ তাদের ছোট ছেলে আবু তাহের জনিকে নিয়ে ভাড়া উত্তোলনের জন্য শহরে এলে সন্ত্রাসীরা খবর পেয়ে বাসায় আসে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাসার মালিক মোঃ গোলাম ছোবহানের বাসায় আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় মোঃ গোলাম ছোবহান বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা গোলাম ছোবহানের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এ সময় তার স্ত্রী নাজিমা আক্তার নাজিমা ও পুত্র আবু তাহের জনি এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এতে পরিবারের সকলেই মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের আর্ত-চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রæত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বাসার মালিক মোঃ গোলাম ছোবহান-এর পুত্র এ প্রতিবেদকে জানান, তাহারা পূর্বে জিডি এন্ট্রি দায়ের করার পর থেকে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা দায়ের করলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হামলার বিষয়ে তিনি জেনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।