বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় জামায়াত শিবিরের সাথে সংঘর্ষে আহত কলেজ ছাত্র গৌছ উদ্দিন ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল ১ নভেম্বর বড়লেখা থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা সবাই জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার আসামীরা হলেন- উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাবিজুরীপার গ্রামের ওসমান আলীর পুত্র জুবের আহমদ (২২), গ্রামতলা এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র রুহুল আমিন (২৬), রাঙ্গাউটি গ্রামের সজ্জাদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম সোহেল (২৭), কুমারশাইল গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের পুত্র দোলোয়ার হোসন (২৬), মুড়াউল গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র নুরুল ইসলাম (২৫), ঘুলসা গ্রামের সোনাহর আলীর পুত্র হোসাইন আহমদ, গ্রামতলা গ্রামের মঈন উদ্দিনের পুত্র আশুক আহমদ, বারইগ্রামের আব্দুল্লাহর পুত্র আবু তাহের (২৪), জফরপুর গ্রামের আরিফ উদ্দিনের পুত্র জিল্লুর রহমান, আদিত্যের মহাল গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র রিপন আহমদ (২৬), পানিধার গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর পুত্র ফারুক আহমদ, জফরপুর গ্রামের বশারত আলীর পুত্র মুহিবুর রহমান, মুড়াউল গ্রামের শামসুল ইসলামের পুত্র মুন্না, পাখিয়ালা গ্রামের আব্দুশ শহীদের পুত্র শাকিল আহমদ, মুছেগুল গ্রামের মুত আব্দুশ শুক্কুরের পুত্র নিজাম উদ্দিন, সুড়িকান্দি গ্রামের এম এ তাহির পুত্র আব্দুল মুকিত, সুড়িকান্দি গ্রামের ফখরুল ইসলামের পুত্র তারেক আহমদ, মুছেগুল গ্রামের আব্দুশ শুকুরের পুত্র আছার উদ্দিন, বড়াইল গ্রামের আব্দ;ুল মতিন মাস্টারের পুত্র রুহুল আম্বিয়া সুমন (২০), গ্রামতলা গ্রামের আব্দুল আহাদের পুত্র নোমান আহমদ, বিছরাবাজার গ্রামের জাহাঙ্গীর, একই এলাকার ফয়ছল আহমদ, গল্লাসাংগন গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আফছর উদ্দিন। আসামীরা সবাই মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর জামায়াত শিবিরের ডাকা হরতাল চলাকালে বড়লেখা গ্রামতলা মসজিদের সামনে রাস্তায় পিকেটিং করছিল নেতাকর্মীরা। এসময় গৌছ উদ্দিন ও তার সঙ্গীয়রা বাধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে গৌছ উদ্দিনসহ আহত হন বেশ কয়েকজন। তবে গৌছ উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত রয়েছেন। গতকাল চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১, তারিখ ০১/১১/২০১৩ ইং।
এ বিষয়ে মামলা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি জানান, এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আসামীদের গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য স্থানসমূহে অভিযান চলছে।