সিলেটের ওসমানীনগরে এক রাতে অন্তত ২০ জন পথচারী ও ব্যবসায়ী একদল অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার গোয়ালাবাজার-বালাগঞ্জ সড়কের কালাসারা হাওরের সেতুর উপর ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, ওসমানীনগরের তাজপুর ইউপির হস্তিদুর গ্রামের দিলওয়ার হোসেন, পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউপির নসিওরপুর গ্রামের পাবেল আহমদ (২০), একই গ্রামের ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসল্লি ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় কালাসারা হাওর পাড়ে সেতুর কাছে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী বাঁশ দিয়ে পথচারী, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদেরকে নিকট থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাত্রী ও পথচারীদের বেঁধে রাস্তা পাশে ফেলে মিয়ে রাখে। এ সময় ছিনতাইকারী দল একে একে প্রায় ২০ জনকে আটক করে ছিনতাই করে। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া নসিওরপুর গ্রামের পাবেল নামের যুবক কৌশলে তার ভাইয়ের কাছে মোবাইলে কল করে জানালে অস্ত্রধারীরা তাকে গুরুতর আহত করে। ছিনতাইয়ের খবর গ্রামে পৌঁছালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হস্তিদুর ও নসিওরপুর গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ছিনতাইয়ের শিকার পাবেল আহমদ, দিলওয়ার মিয়া ও আলামীন জানান, আমরা বাজার থেকে যাওয়ার পথে প্রায় ৮/১০ জনের একদল ডাকাত আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব কিছু নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে মারধর করে। অনুমান ১৫/২০ জন লোককে আটক করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হস্তিদুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আজির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে হস্তিদুর ও নসিওরপুর গ্রামের লোকজন এসে বাঁধা অবস্থায় প্রায় ১৫ জনের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে উদ্ধার করি এবং রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরণ করি। ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত ভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।