• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতি দমনে সচিবদেরও দায়িত্ব রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
দুর্নীতি দমনে সচিবদেরও দায়িত্ব রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার নয়, সচিবদেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানান।  টানা চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এদিন প্রথম সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকটি সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আলোচনা স্থায়ী হয়। এর আগে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।  সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুনীতি রোধে যে সার্ভিস পয়েন্ট আছে সেখানে নজরদারির জন্য যে প্রক্রিয়া নেওয়া যায় সে প্রক্রিয়া নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশে দুর্নীতির বিষয়ে তার জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করে দিয়েছেন।  সংসদকে কার্যকর করা, কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কে অবহিত থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। বিশেষ করে প্রশ্নোত্তর পর্বের উত্তর লেখা বা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথভাবে উপস্থাপন করি। যেদিন যে মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর থাকবে সেদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  তিনি আরও বলেন, কর আদায়ের হার বাড়ানো, করের আওতা বাড়ানোর জোরালো ‍উদ্যোগ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখনও বিরাট সংখ্যক ব্যক্তি যাদের আয়কর দেওয়ার কথা তারা আয়করের আওতায় আসেনি। তাদের যেন আয়করের আওতায় আনা হয় সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। বিনিয়োগ আসতে যেনো কোন বাধা সৃষ্টি না করে। এতে জটিলতা হলে তিনি সহ্য করবে না, ভালোভাবে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।  গার্মেন্টস পণ্যের ন্যায় পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য তিনি বাজারও বলে দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব-এশিয়া এবং আফ্রিকায় যেন বাজার খুঁজি, বিশেষ করে ওষুধ, পোশাক, খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য, পাটজাত পণ্যের। এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেন সহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্য উৎপাদনে নজর দিতে বলেছেন।  মন্ত্রিপরিষদ সচিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়। সার্ভিস সেক্টরে প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। আমাদের যে পর্যটন আছে পাশাপাশি সারা বিশ্বেই প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। সেজন্য উনি বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের কাজের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত রাখার জন্য বলেছেন। এখন যে ক্যাপাসিটি আছে তা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে সেটি প্রকাশযোগ্য না। আপনারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমার অবস্থান থেকে জানানো সম্ভব না।