মো: নাছির উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলায় মাদকের থাবার মূলহোতাকে খুঁজে পাওয়া সহজ ছিল। আমার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসে সিলেটের মাদকের রমরমা ব্যবসা। অবশেষে সকল তথ্য প্রমান পাওয়ার পর ১৪ এপ্রিল গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসার গোমড় প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্রসহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের উপরেও আরো কেউ আছে যার ক্ষমতার কারণে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সন্দেহের তীর চলে যায় সংসদ সদস্যের দিকে। পূর্বেও তিনি অনেক কুর্কীর্তির সাথে জড়িত ছিলেন বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি কোনো না কোনো ভাবে পার পেয়ে যায়। এবার আমার সন্দেহ আরো বেশি সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ দিকে পোক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, উপজেলা চেয়ারম্যান বিপুল মাদক ও অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা পরার পর এবং উপযুক্ত প্রমান থাকার পরেও ৭ই অক্টোবর ২০২২ইং সরাসরি হস্তক্ষেপে এত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া। সোর্স থেকে খবর পাই সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ তার জামিনের জন্য কথা বলেছে।
এতে আর বলার অবকাশ নেই যে নাটেরগুরু আর কেউ নয় স্বয়ং সংসদ সদস্য নিজেই। তা না হলে এত জটিল একটি মামলা হতে এত সহজে জামিন কখনোই সম্ভব নয়। কিভাবে মাদকের থাবা থেকে মুক্তি পাবে সিলেট , যেখানে সরকারি ক্ষমতাসীন লোকের হাতে জিম্মি মানুষের জীবন। মাদকের মরণ থাবা থেকে বাঁচতে হলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এসব দুর্নীতিবাজ মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে।