সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নির্বাচনে ‘সুবিধাজনক অবস্থায়’ আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। জানা যায়, যাচাই-বাছাইকালে ডা. দুলালের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে ত্রুটি পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সিলেট-৩ আসনে আটজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করা হয়েছে ডা. দুলালসহ আরও তিনজন প্রার্থীর মনোনয়ন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত অনেকে আড়াল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. দুলালের সঙ্গে আছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিব বর্ধিত সভা নিয়ে ব্যস্ত। ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি আপিল করব। আমি হলফ করে বলতে পারি ১ শতাংশ ভোটারের প্রতিটি স্বাক্ষর সঠিক ছিল এবং এটার জন্য আমি আপিল করব। বলা হয়েছে যাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে সেগুলো ভুয়া। কিন্তু ভোটারের আইডি নম্বর থাকে, ঠিকানা থাকে আমি তাদের স্বাক্ষর নিয়েছি। তারা এ আসনের ভোটার। সেগুলো ভুয়া হলো কীভাবে। বরং আমার ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাসার বিদ্যুৎ বিলের মিটারের ছবি তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, কোনো দপ্তর থেকে নোটিস পাইনি। আমার আয়কর, বিদ্যুৎ বিল সবকিছু ঠিক আছে। শুধু ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের অজুহাত দিয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান হাবিবের দ্বৈত নাগরিকতা নিয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার জানালেও তিনি তা আমলে নেননি।’ এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ারা হোসেন আফরোজ ও ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. দুলাল, কফিল আহমদ চৌধুরী, মো. ফখরুল ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ময়নুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।