মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান তার হলফনামায় বছরে সাড়ে ৫ কোটি টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেয়া হলফনামায় নিজের আয়-ব্যায়ের হিসাব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হলফনামায় সাকিব নিজের পেশা হিসেবে ক্রিকেটার দেখিয়েছেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন বিবিএ পাশ। তার বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা। জামানতের বিপরীতে ব্যাংক লোন দেখিয়েছেন ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা। সাকিব ক্রিকেটের বার্ষিক পেশাগত আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৯ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক জমা দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা। সোনা দেখিয়েছেন ২৫ ভরি। আসবাপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী দেখিয়েছে ১৩ লাখ টাকা। শুধু ইস্টার্ন ব্যাংকেই তার ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা লোন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আয় থেকে ব্যাংক আমানত দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। এদিকে, মাগুরা-১, মাগুরা-২ এবং ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়ন নিয়েছিলেন সাকিব। পরে দলীয়ভাবে তাকে মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়াবিদদের খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির অঙ্গনে পদার্পণ নতুন কিছু নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবসর নেওয়ার পর অনেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এর ব্যতিক্রমও হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা জাতীয় দলে খেলা অবস্থাতেই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। মাশরাফির পর বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও সেই পথেই হাঁটছেন।