গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের শাহবাগ মহিদপুর মুরাদখালের পাশে দ্রুতগতির বাস চাপায় নিহত কানাইঘাটের দুই মেধাবী কলেজ শিক্ষার্থীর মেহেদি হাসান ও মাহাদি হাসান রাহাত দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের সুতারগ্রাম জামে মসজিদে তাদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজে এলাকার শোকাহত হাজারো মানুষ শরীক হন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই মেহেদি হাসান ও মাহাদি হাসান রাহাতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশ হেফাজত থেকে দুই চাচাতো ভাইয়ের লাশ পরিবারের সদস্যরা তাদের নিজ বাড়ি সুতারগ্রামে নিয়ে গেলে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনদের আর্তনাদে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
জানাজায় শরীক হওয়া লোকজন জানিয়েছেন, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মেহেদি হাসান ও মাহাদি হাসান রাহাত অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।
এসএসসি পরীক্ষায় তারা জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বেপরোয়া গতিতে বাস চলাচলের কারনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থী দুই চাচাতো ভাইয়ের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। এ জন্য বাস চালককে দায়ী করেছেন তারা।
জানাজার নামাজের পূর্বে মেহেদি হাসানের পিতা কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসেন আহমদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার ছেলে ও ভাতিজা মাহাদি হাসান অত্যন্ত সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। ঘাতক বাস তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যাতে করে ভবিষ্যতে না ঘটে এজন্য জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে বেপরোয়া গতির বাস চলাচল বন্ধের দাবী জানান এবং তাদের সন্তানদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
মেহেদি হাসান ও মাহাদি হাসান রাহাতের সহপাঠি অনেকে জানাজায় শরীক হন। তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তারা তাদের দুই প্রিয় সহপাঠিকে হারিয়েছেন। ভবিষ্যতে এভাবে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী সড়কে যাতে মৃত্যু না হয় এজন্য যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।