• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তদন্তে অবহেলা, বড়লেখার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
তদন্তে অবহেলা, বড়লেখার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

সিলেট সুরমা ডেস্ক : প্রবাসে নেওয়ার কথা বলে টাকা গ্রহণ ও পরবর্তীতে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় প্রায় ৯ মাস আগে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনের নামে একটি মামলা হয়েছিল। আদালতের আদেশে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু ২টি ধার্য তারিখের পর তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেননি। এরপর তৃতীয় ধার্য তারিখে আদালত থেকে তাগিদপত্র ইস্যু করা হয়। তারপরও চতুর্থ ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা কিংবা দাখিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এতে এই মামলার বিচার নিষ্পত্তি হতে বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় আদালত ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে সরাসরি উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্জ সহকারি শফিউল আলম বেলালী।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকলে বলেন, ‘সিআর (নম্বর ২৯/২৩) মামলায় আদালত কর্তৃক তাগিদপত্র ইস্যুর পরও একাদিক ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তৎমর্মে লিখিত কারণ ও ব্যাখা প্রদানের জন্য আদালত আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৬ নভেম্বর তাকে (শিক্ষা অফিসার) সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আদেশের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, বিভাগীয় উপ পরিচালক, মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ডাকযোগে ও ই মেইলে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

আদলত সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার বড়ময়দান গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে সৌদিআরবে নেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন বিয়ানীবাজারের সৌদি প্রবাসী আজিম আলী, তার ভাই ফয়জুর রহমান ও তাদের এক আত্মীয় রুমি বেগম। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ মার্চ দুই দাগে তারা হেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেন। এরপর দীর্ঘদিনেও হেলাল উদ্দিনকে ভিসা দিতে পারেনি। টাকা ফেরৎ দিবে বললেও চলিত বছরের ১৩ জানুয়ারি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন হুমকি ধামকি দেন। পরে গত ১৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মামলা (সিআর-২৯/২৩) করেন হেলাল। এদিন বিজ্ঞ আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা ও যথার্থতা সম্পর্কে তদন্তপূর্বক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ধার্য তারিখ ১২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত ১৩ জুন মামলার তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু ওই তারিখেও প্রতিবেদন জমা দেননি। পরবর্তীতে আদালত ১৫ জুন তদন্ত কর্মকর্তা বরাবর তাগিদপত্র ইস্যু করে ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রাপ্তির দিন ধার্য করেন। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা ওই তারিখেও প্রতিবেদন জমা দেননি। এমনকি বিলম্ব কিংবা ব্যর্থতার ব্যাখ্যাও দেননি, যা আদালতের বিধানাবলীর লঙ্ঘন।