গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ গ্রামে যুবতী সীতা রানী দাশকে অপহরণের অভিযোগে গতকাল তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন তার পিতা অলক দাশ। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে একই গ্রামের মৃত গৌছ উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদ আহমদকে। অন্য দুই আসামী হচ্ছেন একই গ্রামের সিরাজ খানের পুত্র আজাদ খান ও হুমায়ুন আহমদের পুত্র হাসনাত আহমদ। পুলিশ এখন পর্যন্ত সীতা রানী দাশকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং কোন আসামীকেও আটক করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতা রানী দাশের সাথে মোহাম্মদ রাশেদ আহমদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সীতা রানী হিন্দু ও রাশেদ আহমদ মুসলমান হওয়ায় উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তাদের সম্পর্ককে কোনভাবেই মেনে নিবেন না বলে জানিয়ে দেয় উভয় পরিবার। গত ১৩ জুলাই সীতা রানী দাশ পুজো করতে মন্দিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেননি। সীতা রানী দাশের পিতা অলক দাশ তার মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গতকাল ১৪ জুলাই অপহরন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে গোলপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত করেছেন সীতা রানী দাশের প্রেমিক মোহাম্মদ রাশেদ আহমদ ও তার দুই বন্ধুকে। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, মন্দিরে যাওয়ার পথে সীতা রানী দাশকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আসামী রাশেদ আহমদ ধর্ষণ করেছেন। অপহরনের সময় কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করবেন বলে ধামকিও দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ আসামীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তবে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। সীতা রানী দাশকে উদ্ধার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।