সিলেট সুরমা ডেস্ক :
বিগত ৫ই জুন বুধবার সুনামগঞ্জ সদর থানার মোহনপুর ইউনিয়নের বর্মা উত্তর গ্রামের মো. রফিকুল হকের একমাত্র মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিনকে স্কুলে যাওয়ার পথে কে বা কারা অপহরণ করে। অপহরণের পর তাকে গণধর্ষণ শেষে হত্যার পর লাশ গুম করে। কিশোরীর পিতা থানায় জিডি করার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম বলার কারণে পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। গতকাল পাশের হাওর থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ সদর থানায় নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত ৫ই জুন ২০১৯ইং তারিখে সাবিনা ইয়াছমিন স্কুলের কোচিং ক্লাসে অংশগ্রহন করতে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পিতা স্কুলের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন সেদিন সে স্কুলে যায়নি। তারপরই এলাকাসহ আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে সন্ধান করলেও তার কোনো খোঁজ পাননি। এক পর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। জিডি গ্রহন না করার কারণ সন্দেহভাজন নেতাদের নাম সাবিনা ইয়াছমিনের পিতা বলেছিলো। এদিকে দিনের পর দিন তার খোঁজ না পেয়ে পিতা মাতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এবং তার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তার মা প্রায় পাগল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং কিশোরীর বাবা লাশ উদ্ধারের পর থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। থানায় মামলা করতে যাওয়ার কারণে কিশোরীর পুরো পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য, নতুবা সবার পরিনতি মেয়ের মতই হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখন পুরো পরিবার দিশেহারা।