• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সোহান হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কামরুলের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২২, ২০২১
সোহান হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কামরুলের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলার আলোচিত সোহান হত্যার মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কামরুল হাসানের খুলিয়াটুলার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (২১/০৮/২০২১) রাতে এসএমপি’র কোতায়ালী থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায়। কামরুল ঐ এলাকার মৃত মশদ আলীর ছেলে এবং সিসিক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর ছেলে সোহান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। বিগত ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে লামাবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন হন সোহান ইসলাম। এ ঘটনায় আদালত গতবছরের ১০ নভেম্বর কামরুলসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন। রায়ের আগ থেকেই কামরুল হাসান পলাতক।
অভিযানের ব্যাপারে কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, আসামী কামরুল হাসান সোহান হত্যা মামলায় একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের জন্য আদালতের নির্দেশ আছে। সে দীর্ঘদিন থেকে পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা তার বাসা ও যাতায়াতের সম্ভাব্য স্থান গোপনে নজরদারীতে রেখেছি। শনিবার আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি আসামী কামরুলকে খুলিয়াটুলার বাসায় দেখা গেছে। সাথে সাথে পুলিশের একটি দল তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে এবং তল্লাশী চালায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনকে জেরা করা হয়েছে কিন্তু তারা কামরুলের উপস্থিতির কথা পুলিশের কাছে অস্বীকার করেছে। তবে সে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। যেখানেই পাওয়া যাবে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা জানান, কামরুল দীর্ঘদিন থেকে পলাতক। সে একটি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাকে এলাকায় দেখা যায় না। পুলিশের ভয়ে সে বাড়ি আসতে পারে না অনেকদিন। গতকাল রাতে হঠাৎ কামরুলের বাড়ির মহিলাদের কান্না ও চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে কামরুলকে খুঁজছে, জিনিসপত্র ছোড়াছুড়ি করে তছনছ করছে।
এ ব্যাপারে কামরুলের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, রাতে হঠাৎ করে পুলিশ এসে বলে তার স্বামী কোথায় বের করে দিতে। তিনি বলেন মামলার কারণে তার স্বামী কামরুল দীর্ঘদিন থেকে পলাতক। তিনি পুলিশের ভয়ে বাড়ি আসতে পারেন না। পুলিশ তার কথায় বিশ^াস না করে ঘরে তল্লাশী করে এবং আসবাবপত্র তছনছ করে। লাকি জানান একদিকে সাজার পরোয়ানা নিয়ে স্বামী বাড়ি ছাড়া, এরউপর পুলিশের এইভাবে তল্লাশীতে তারা ভেঙে পড়েছেন।