• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০১৬
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল ১০ আগষ্ট দুপুরে ভার্সিটি মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভার্সিটিতে গতকাল এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একতা’ টিমের সাথে ‘চ্যালেঞ্জার্স’ টিমের খেলা চলছিল।

খেলার প্রথমার্ধে একতা টিম ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। গোলটি করেন শিক্ষার্থী নাহিয়ান। পরে দ্বিতীয়ার্ধে একতা টিম আরেকটি গোল করে ২-০তে এগিয়ে গেলে মাঠের বাইরে থাকা প্রতিপক্ষ চ্যালেঞ্জার্স টিমের সমর্থকরা মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন একতা টিমের খেলোয়াড়দের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে খেলোয়াড়সহ কমপক্ষে ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগই হচ্ছেন একতা টিমের খেলোয়াড়। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষার্থী নাহিয়ান, আতিকুর রহমান চৌধুরী, আজাদুর রহমান, কামরুল ইসলাম, বিমল দেব সহ ৭/৮ জন। তন্মধ্যে আতিকুর রহমান চৌধুরী ও কামরুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একতা টিমের অধিনায়ক মোশতাক জানান, খেলায় তাদের জয় নিশ্চিত হচ্ছে দেখে ছাত্রলীগ নেতা সাগরের নেতৃত্বে মাঠে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এতে খেলা পন্ড হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, চ্যালেঞ্জার্স টিম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ পরিচালনা করে। পরাজয় এড়াতে জোরপূর্বক মাঠে ঢুকে তারা একতা টিমের খেলোয়াড় ও রেফারির উপর হামলা চালায়। এতে একতা টিমের খেলোয়াড়সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ড নতুন নয়। ক্যাম্পসে মারধর হামলা এটা তাদের নিত্যদিনের কর্ম। তাদের দাপটের কাছে সবাই এখন অসহায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাস জানান, খেলা চলাকালীন অবস্থায় দু দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দোষীদের সনাক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারি প্রফেসর প্রধান মাহবুব ইবনে সিরাজের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা করার কথা। অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের কথা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।