• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কানাইঘাটে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত নভেম্বর ১৬, ২০২১
কানাইঘাটে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের প্রতিবাদ সভা

সিলেট সুরমা ডেস্ক::
কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ক্যাটাগরির নির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদে ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়ার নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন নাগরিক, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ লোকমান ও আনোয়ার হোসেনের যৌথ পরিচালনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক ক্যাটাগরীর নির্বাচন বন্ধ, শিক্ষক নিয়োগে আত্মীয়করণসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য মন্টু মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুছ সালাম, মহিবুর রহমান, আজীবন দাতা সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী সোহেল, প্রবীণ মুরব্বী আহমদ আলী, মণির্ং চাইল্ড কিন্টারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী মাহবুবুর রহমান মবু, বিদ্যালয়ের বর্তমান অভিভাবক ক্যাটাগরীর সদস্য প্রার্থী বাহার উদ্দিন, সাবেক নির্বাচিত সদস্য ওয়ারিছ উদ্দিন কালা বারি, সমাজসেবী সালেহ আহমদ, ছয়ফুল ইসলাম, মঞ্জুর মিয়া, ইদ্রিছ আলী, আলা উদ্দিন, ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন, রফিক মিয়া, বাবুল আহমদ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিক্ষক রামীম আহমদ, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আশরাফ, আফসার আহমদ, আফছর চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ছাড়া বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, সুষ্ঠু পাঠদান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়া তার মনগড়া দাতা সদস্য ও শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। যার কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উপজেলা পর্যায়ে সর্বনিম্ন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়া অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমরা বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনতে পাঠদান ও অবকাঠামো উন্নয়ন, ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের জন্য বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্মরণাপন্ন হলে তিনি এসব তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ে তার আধিপত্য দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন দিতে কালক্ষেপণ করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ২০১১ সালের ২৯ মার্চ একটি রীট পিটিশন (নম্বর-৩৫৫৭/২০১১) দায়ের করেন। রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহমান্য হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর রীট পিটিশনের রায় প্রদান করেন।

রায়ের প্রেক্ষিতে সিলেট মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিষয়টি মিমাংসা করে দাতা সদস্য ব্যতীত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্নের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে একটি পত্র প্রদান করেন। ওই পত্রের প্রেক্ষিতে ৪ সদস্যের একটি এডহক কমিটি গঠন করে গত ১১ নভেম্বর অভিভাবক ক্যাটাগরির নির্বাচনের তপশীল ঘোষণা করা হয়। এতে নির্বাচনের দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়ার মদদে অদৃশ্য বলয়ের জোরে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দ এর প্রতিবাদ করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়া তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিদ্যলয়ের সমস্যা সমাধান করে দাতা সদস্য ব্যতিত অভিভাবক ক্যাটাগরীর নির্বাচন প্রদানের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিদ মিয়ার বক্তব্যের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।