গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :::
গোলাপগঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মী সার মিয়া হত্যা ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৬ জনের নামোল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা নং-১১। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার মামলাটি রেকর্ড করে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই জামাল মিয়া। মামলার বাদী জামাল মিয়া এ প্রতিবেদকে বলেন, থানায় এজাহার দেয়ার পর মামলা রেকর্ড হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত নির্মমভাবে তার ভাই সার মিয়াকে হত্যা করেছে।
মামলায় আসামীরা হলেন গোলাগাঁও গ্রামের মৃত মনিরুল ইসলামের পুত্র কামরুল ইসলাম (৩২), কিসমত-মাইজভাগ গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র মোজাক্কির হোসাইন (২৪), হাজীপুর গ্রামের কাদির মিয়ার পুত্র সোহাগ (২৮), পইলতা বহর গ্রামের আছদ্দর মিয়ার পুত্র শরিফ (২৮), কিসমত-মাইজভাগ গ্রামের মোজাক্কির হোসাইনের স্ত্রী কাজী শুচী আল সামা (২৬), গোলাগাঁও গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র রফিক মিয়া (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন। আসামীরা সবাই গোলাপগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কিসমত-মাইজভাগ গ্রামে সড়কের পাশে বিবস্ত্র ও দুই হাতবাধা অবস্থায় ১টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মৃতদেহটি পার্শ্ববর্তী গোলাগাঁও গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী সার মিয়ার। সার মিয়ার ভাই জামাল মিয়া লাশটি তার ভাইয়ের বলে নিশ্চিত করেন। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত খুন বলে ধারনা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি জানান, এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।