মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় রাতেঁর আধারে যুবলীগ নেতা সোহেল উদ্দিন মোল্লাকে হত্যা করেছে দুবৃত্ত্বরা। নিহত সোহেল উদ্দিন মোল্লা বড়লেখা উপজেলার-যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি বড়লেখা উপজেলার সাবেক কমিশনার বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান মো: তাজ উদ্দিন এর ছোট ভাই। নিহত ব্যক্তি একটি ডেপোলাপার প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গতকাল সকাল বড়লেখা পৌরসভার পেছনের ড্রেনে নিহত সোহেল উদ্দিন মোল্লার লাশ স্থানীয়রা দেখে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার জন্য বড়লেখা থানায়, থানার ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন বাদী হয়ে দশ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন বড়লেখা থানার, জামকান্দি গ্রামের সুমন আহমেদ (২৮) পিতা কামাল আহমেদ , আবির আহমেদ (২৬) পিতা সাব্বির আহমেদ মোল্লা, সুমিত্র চন্দ্র নাথ (২৮) পিতা সমরেশ চন্দ্র নাথ, হাসান আহমেদ (৩২), পিতা সফিক আহমেদ, অরুণ দেব (৪৫) পিতা নিখিল দেব, জমির আলি (২৪), পিতা বশির আহমেদ। উপরোক্ত আসামীরা ঘটনার সাথে সাথেই পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার কৃত আসামিরা হলেন একই উপজেলার, ভাগাডহর গ্রামের মৃত ছুরত আলির ছেলে বিলাল আহমেদ (৫০), আব্দুল আজিজ এর ছেলে ছুরত আহমেদ (২২), রামধন বিশ্বাস এর ছেলে রাজিব বিশ্বাস (২৫), এবং আহাদ চৌধুরী আহাদ এর ছেলে সুনাম চৌধুরী (৩১)।
মামলার বাদী তাজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আসামী সুমিত্র চন্দ্র নাথ ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার সুমন আহমেদ চৌধুরীর সাথে বিল্ডিং ডিজাইন ও কন্ট্রাকশন কাজ নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে নিহত ব্যক্তির সাথে মনোমালিণ্য হয়। এ ঘটনার জের ধরে সুমিত্র চন্দ্র নাথ ও তার সহযোগিরা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এদিকে গ্রেফতার কৃত আসামিদের রিমান্ডের আবেদন দাবি করেন মামলার বাদী এবং পলাতক আসামিদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার এর দাবি জানান।
বড়লেখা থানার ওসি মো: ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উক্ত হত্যাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্বেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে বলে জানান।
ঘটনার বিবরণ: নিহত সোহেল উদ্দিন মোল্লা ও তার ব্যবসায়ীক সহযোগিরা নতুন একটি প্লটে ডেপলাবিং এর পরিকল্পনা হাতে নেয়। জায়গাটি জামকান্দি কুলাউড়ায় গ্রামে অবস্থিত। উক্ত জায়গার স্বতাধীকারী আসামি আবির আহমেদ। এবং পার্শ্ববর্তী প্লটে ৩০ শতাংশ জমি যার মালিক সমরেশ চন্দ্র নাথ, উক্ত জায়গা কয়েক বছর পূর্বে মো: তাজ উদ্দিন এবং রমিজ মোল্লা গং দখল করে নেয়। দখল কৃত সমরেশ চন্দ্র নাথের জায়গার মামলা কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় আছে। কিন্ত তাজ উদ্দিনের প্ররোচনায় ও ক্ষমতার দাপটে, সোহেল উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে একদল,লোক দখল কৃত জায়গার মধ্যে গতকাল রাতের আধারেই প্রাচীর নির্মাণ করেন। উক্ত ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি আবির আহমেদ, সুমন আহমেদ ও হাসান আহমেদ তাদের দলবল নিয়ে নিহত সোহেল উদ্দিন মোল্লার উপর দেশিয় অশ্র নিয়ে আক্রমণ করলে ঘটনার স্থানেই সোহেল মৃতুবরণ করেন।