• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ প্রবাসী নারীর

প্রকাশিত মার্চ ৬, ২০২১
স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ প্রবাসী নারীর

সিলেট সুরমা ডেস্ক::
পরিবারের সুনাম নষ্ট করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে দ্বিতীয় স্বামী জাকের আহমদ কর্তৃক মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ এবং মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীনকার্ডধারী বাংলাদেশি বংশদ্ভোত শারমিন সুরভী মৌসুমী। এ বিষয়ে তিনি আমেরিকা সরকারের উর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করে জাকেরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে ৬ বছর বয়সে তিনি আমেরিকায় যান। ২০১২ সালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ডা. ফরিদ আহমদের সাথে বিয়ে হয় তার। তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তবে প্রথম স্বামী আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ লেগেই থাকে, একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ৩০ আগস্ট তিনি তাকে তালাকের নোটিশ পাঠান।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এর তিন বছর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাকের আহমদের সাথে পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তার। প্রথম বিয়ে এবং সন্তানের কথা জাকেরের পরিবারও জানে, এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্তান আইয়ান নাহি আহমদও উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিয়ের রাতেই জাকেরের অসুস্থতার কথা ধরা পড়ে। যা পরে তার ভাবি ও বোনকে জানালে তারা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন এবং আমেরিকায় গিয়ে চিকিৎসা নিলে ঠিক হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন। এরই মাঝে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তিনি আমেরিকা চলে যান বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা গেলেও জাকেরের সাথে মোবাইলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। সে সব সময় তাকে আমেরিকায় নিয়ে আসার জন্য বলতো। তবে গত নভেম্বরে তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ফোনালাপে ঝগড়া হলে তা পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রকাশ পেয়ে যায়, এবং তার সাথে ফোনালাপ না করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এরপর থেকে তিনি ফোনে কথা বন্ধ রাখেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এর পরই প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি জাকের বাদী হয়ে তার মা-বাবা ও তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। আর মামলায় সে দাবি করে, পূর্বের বিয়ে ও সন্তানের কথা গোপন করে এবং কাবিননামায় কুমারী উল্লেখ করে তার সাথে বিয়ের কার্য সম্পাদন করা হয়েছে। অথচ পূর্বের বিয়ে ও সন্তানের সকল ডকুমেন্ট আমেরিকা এম্বেসীতে রেকর্ড রয়েছে। মূলকথা হচ্ছে, তাকে আমেরিকায় আনতে না পারায় সে প্রতারণামূলকভাবে এ মামলা দায়ের করেছে। একই সাথে জাকের ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করার মিথ্যাচারও করছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে আমার এবং আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করে এবং সমাজে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন।