সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বরাবরে এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন ও এসআই মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী জাকির আহমদ চৌধুরী। গতকাল দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অভিযোগটি দাখিল করা হয়।
জাকির আহমদ চৌধুরী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বরশালা এলাকায় হামলা ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত করা হচ্ছে। বড়শালা এলাকার বাসিন্দাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মসজিদের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, জাল-জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে।
এ সব বিষয়ে বড়শালা এলাকার বাসিন্দারা বতুশা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সিলেটের জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, বিমানবন্দর থানা, র?্যাব-৯ সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে প্রায় ৫টি জিডি ও ২০টি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এরপর থেকে বতুশা তার বাহিনীর মাধ্যমে ও বিভিন্ন কৌশলে নানা ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য এবং মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাছাড়া বতুশার সঙ্গে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সু-সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি দরখাস্তে আরো উল্লেখ করেন, আইসিটি আইনের মামলাটি আদালত গ্রহণ করে তদন্তের জন্য এসএমপি’র বিমানবন্দর থানায় প্রেরণ করলে তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই মোফাজ্জল হোসেন।
কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্তের পূর্বেই যোগাযোগ করেন আসামির পিতার সঙ্গে। আর বতুশা তখন থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে তা মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য গোপন চুক্তি করেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলাটি অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন চৌকস কর্মকর্তা বা গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে ও গোপনে সঠিক তদন্ত করার দাবি জানান।
তথ্য সূত্র : মানবজমিন লিংক সংযুক্ত