• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অপূর্ব শর্মার ভূয়সী প্রশংসা করলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুন ১৭, ২০২০
অপূর্ব শর্মার ভূয়সী প্রশংসা করলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী

সিলেট সুরমা ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক, সাংবাদিক, কবি অপূর্ব শর্মার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন একুশের গানের রচয়িতা, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। ‌’কাব্যে ও গানে করোনার প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে করোনাকালের লেখা অপূর্ব শর্মার কবিতা ও গানের প্রশংসা করেন তিনি। প্রবন্ধটি আজকের (বুধবার) দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘অপূর্বকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘দৈনিক যুগভেরী’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। তিনি অনুসন্ধানী রিপোর্টারও। তবে আসল পরিচয় অসাধারণ প্রতিভাশালী সাহিত্যিক। এদিক থেকে তার অপূর্ব নামটি সার্থক হয়েছে। অনুসন্ধানী রিপোর্ট, কবিতা, গল্প কোন কিছু লেখাতেই তার জুড়ি নেই। বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানও আছে তার। তার লেখা অসংখ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে বীরাঙ্গনাদের কথা, মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের নারী, ওরা ফিরে আসেনি, চা বাগানে গণহত্যা ইত্যাদি।

বাংলাদেশে করোনা যুগের সাহিত্যের অগ্রনায়ক হিসেবেও তার নাম বেঁচে থাকবে। তিনি সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। আমার আশা তিনি অচিরেই সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাবেন।

প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আমি অপূর্বর ‘দেখা হবে মিলন মোহনায়’ কবিতাটির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ‘মহাজীবনের গান’ কবিতাটি লিখি। উদ্দেশ্য, করোনার আতঙ্ক মানুষের মন থেকে দূর করা। অপূর্ব শর্মার কবিতাটি হৃদয়স্পর্শী এবং প্রতিভাবান তরুণ আবৃত্তি শিল্পীদের কণ্ঠে তা জীবন্ত হয়ে মানুষের মনে আশা ও বিশ্বাস জোগাচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা একদিন যাবে। সম্পূর্ণভাবে না গেলেও যাবে। কিন্তু মানব সভ্যতায় সে যে পরিবর্তন ঘটাবে তা হবে অচিন্তনীয়। এই পরিবর্তনের ছাপ পড়বে আমাদের শিল্প-সাহিত্যেও। এই পরিবর্তনের পদধ্বনি ইতোমধ্যেই কবিতায় ও গানে শোনা যাচ্ছে। ব্রিটেনের কবি লিলিবেথের কবিতায় তা প্রথম শোনা গেছে। তার প্রতিধ্বনি জেগেছে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের তরুণ কবিদের কাব্যে ও গানে। বাংলাদেশে অপূর্ব শর্মাও করোনা যুগের সাহিত্যের প্রথম অনুভূতি তার কাব্যে জাগিয়েছেন। চল্লিশের দশকের সুকান্তর ‘ঘুম নেই’ কবিতা যেমন ত্রিশের কবিদের আত্মকেন্দ্রিকতা ও ব্যক্তি সর্বস্বতা ভাঙার কাজে লেগেছিল, বর্তমান দশকে তেমনি করোনা নিয়ে অপূর্ব শর্মার কবিতা ও গান এ যুগের তরুণ কবিদের আত্মমোহ ও আত্মকেন্দ্রিকতা ভাঙাতে পারলে খুশি হবো।

উল্লেখ্য, করোনাকালে মানুষের মনে সাহস ও শক্তি যোগাতে একের পর এক কবিতা ও গান লিখে চলেছেন অপূর্ব শর্মা। তাঁর লেখা ‘জাগো মানুষ’ এবং ‘দেখা হবে মিলন মোহনায়’ কবিতাটি দুঃসহ এই সময়ের অন্যতম সৃষ্টি হিবেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেখা হবে মিলন মোহনায় কবিতার কোলাজটি চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছে। যা সুধিমহলে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে।