সিলেট সুরমা ডেস্ক : সদ্য প্রয়াত সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহ সিলেট নিয়ে আসা হবে। সোমবার সকালেই তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা হবে বলে জানিয়েছেন কামরানের ঘনিষ্টজন ও যুবলীগ নেতা মেহেদী কাবুল।
কামরানের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই কামরানের মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা হবে।
এদিকে, কামরানের জানাযাসহ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সোমবার সকাল ৯টায় বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
সিলেটের এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, করোনায় কেউ মারা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও লোকসমাগম না করে তার দাফন ও জানাযা করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বদরউদ্দিন কামরান ছিলেন সাধারণ মানুষের অতি আপনজন। তাই তার জানাযায় অনেক মানুষই চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে কী করণীয় তা ঠিক করতে সকালে আমরা বৈঠকে বসবো। প্রশাসনের সাথেও কথা বলবো।
সোমবার (১৫ জুন) ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামরান।
বিজ্ঞাপন
কামরানের ব্যক্তিগত সহকারি বদরুল ইসলাম বলেন, প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর স্যার (কামরান) অনেকটা ভালো বোধ করছিলেন। তার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছিলো। তবে রোববার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। এরপর ভোরের দিকে মারা যান।
সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা দুইবারের মেয়র কামরান গত ৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরদিন তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শরীর আরও খারাপ হলে ৭ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিলো।
তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সোমবার ভোরে মারা যান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি।
এরআগে গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি অনেকটা সুস্থ রয়েছেন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।