পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই,সমাজ কিংবা উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌছতে হলে নিজেকে শিক্ষিত ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে,পৃথিবীতে যতো প্রভাবশালী কিংবা যারা সুনাম অর্জন করেছেন, তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত, আজকের কোমলমতি শিশুরা একদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে, সে জন্য দরকার শিক্ষার প্রসার ও উন্নত মন-মানসিকতা, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন,তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হতে চলেছে, আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে অন্যান্য দেশ কে পেছনে ফেলেছে, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন,তাতে অচিরেই আমরা একটি সুখি ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারবো, দেশের একমাত্র ডিজিটাল নগরি হিসেবে সিলেট আজ মাথা উচু করে দাড়িয়েছে, সবার সম্মিলিত চেষ্ঠা থাকলে অসম্ভবকে ও সম্ভব করা যায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গৌরবময় ৫০ বছর পুর্তিতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে ২ দিন ব্যাপী ‘‘সুবর্ণ জয়ন্তী’’র ১ম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মিজানুর রহমান শাহানুরের সভাপতিত্বে ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র(১),২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর কদমতলীর বাসিন্দা রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপনের পরিচালনায় অনুষ্টিত ‘‘সুবর্ণ জয়ন্তী’’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আব্দুল মোমেন আরো বলেন, কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেভাবে তার সুনামের ধারা অব্যাহত রেখেছে,তা ভবিষৎতে আরো সাফল্য লাভ করবে, তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার পরিকল্পিত উন্নয়ন করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক এ কে এম সাফায়েত আলম, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আব্দুল মুন্তাকিম,দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরী, বিশিষ্ট মুরব্বী ও হযরত দরিয়া শাহ মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী সমরাজ মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ মন্নান,রাজনীতিবিদ মহসীন আলী চুন্নু, আকতার রশিদ চৌধুরী, আব্দুল মালিক মারুফ,সাংবাদিক এম এ মালেক, স্বর্ণশিখা সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব এবং প্রকাশনা উপ-কমিটির আহবায়ক আলমগীর হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের একমাত্র সদস্য প্রবীণ মুরব্বী হাজী বারী মিয়া,হাজী আঙুর মিয়া, সমাজসেবী আওলাদ হোসেন,ইছাখ মিয়া, সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিরুল, ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছয়েফ খান, লন্ডন প্রবাসী ও সমাজসেবী এনায়েত হোসেন সামাদ, এনায়েত উল্লাহ সজিব, আকতার উদ্দিন, সেলিম আহমদ, বদরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও সাবেক ছাত্রনেতা শামীম বকস্, সমাজসেবী আক্তার উদ্দিন নাদির,মুহিবুর রহমান মুহিব,বাবলু হোসেন হৃদয়, যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিনসহ কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও প্রয়াত গুনিজনদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করেন প্রধান অতিথি। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিদ্যালয় থেকে এক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।