সিলেট সুরমা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। পোড়া (নষ্ট) পাম তেলে বেকারি পণ্য তৈরি, বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরি এবং উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ ছাড়া দই বিক্রির জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বেকারি ও তিনটি মিষ্টির দোকান রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) সিলেট কার্যালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা করে। শহরের তিনটি বেকারি ও তিনটি মিষ্টির দোকানকে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মো. শামীম আল ইমরান।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত বড়লেখা পৌর শহরের কলেজ রোড, উত্তর চৌমুহনী, হাজীগঞ্জ বাজার ও নারী শিক্ষা কলেজ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনটি বেকারিতে পোড়া (নষ্ট) পাম তেলে বেকারি পণ্য তৈরি, বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়া কেক, ব্রেড, চানাচুর, বিস্কুটসহ বেশ কিছু পণ্য অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি করতে দেখা গেছে।
এই অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত শহরের নারী শিক্ষা কলেজ এলাকার শ্যামলী ফুড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ১ লাখ টাকা, বড়লেখা সরকারি কলেজ এলাকার বিসমিল্লাহ বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা, উত্তর চৌমুহনী এলাকার গ্রামীণ ফুডকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া নারী শিক্ষা কলেজ এলাকার শ্যামলী ফুড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির পোড়া (নষ্ট) পাম তেল ও নষ্ট চিনির উপকরণগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে বিএসটিআইয়ের অনুমতি এবং উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া দই বিক্রির জন্য পৌর শহরের পাল মিষ্টি ঘরকে ১০ হাজার টাকা, পুষ্প মিষ্টি ঘরকে ৫ হাজার টাকা ও ঝুমা মিষ্টি ঘরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআই’র সিলেট কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত, বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আক্তারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মো. শামীম আল ইমরান বলেন, তিনটি বেকারিতে খুবই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করা হচ্ছিল। পোড়া (নষ্ট) পাম তেল ও চিনির উপকরণ পাওয়া গেছে। সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিএসটিআইর অনুমতি ছাড়া বেশ কিছু পণ্যও তৈরি করছিল বেকারিগুলো। এছাড়া তিনটি মিষ্টি দোকানে বিএসটিআইর অনুমতি ও উৎপাদন এবং মেয়াদের তারিখ সংক্রান্ত তথ্য ছাড় দই বিক্রি করতে দেখা যায়। ৬টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা হয়েছে।