হত্যা, ছিনতাই, সন্ত্রাসী হামলা, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধের মুলহোতা দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ উরফে ঝারুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরির সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে লামাবাজার ফাঁড়ি পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর কতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করে। পরে থানা পুলিশ রাতেই তাকে দক্ষিণ সুরমা থানায় প্রেরণ করে। মাসুদ উরফে ঝারু মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার লালপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া উরফে বুদু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে সিলেট নগরির শামীমাবাদ আবাসিক এলাকায় বসবাসের পাশাপাশি সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, ঝারুকে গ্রেফতারের জন্য একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সে দক্ষিণ সুরমা ছেড়ে উত্তর সুরমায় আত্মগোপন করে। কতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে দক্ষিণ সুরমা থানায় প্রেরণ করেছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ জানান, ঝারুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। মামলা গুলো হচ্ছে, কতোয়ালী থানার মামলা নং ২০/২৪২ তারিখ-১৯/০৮/২০১৬ইং, ২০/১১৩ তারিখ ২০/০৪/২০১৭ইং, ১২/১৮৭ তারিখ ০৯/০৬/২০১৭ইং, দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-১২/৮০ তারিখ ১৪/০৫/২০১৮ইং, কতোয়ালী থানার মামলা নং ৬১/২৭৫ তারিখ ২৯/০৫/২০১৮ইং,দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-২১, তারিখ ২৮/১০/২০১৯ইং। কতোয়ালী থানার মামলা নং ২০/২৪২ তারিখ-১৯/০৮/২০১৬ইং এর হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী মাসুদ উরফে ঝারু। উল্লেখ্য চলতি বছরের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলীর বহুল আলোচিত ও সমালোচিত অপরাধের আস্তানা বালুর মাট কলোনীতে স্থানীয় যুবক মেহেদী হাসান সাজাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাসুদ উরফে ঝারু। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২১। মামলা দায়েরের পরপরই ঝারু কলোনীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বালুর মাট এলাকায় মুজিবের কলোনীতে দীর্ঘদিন ধরে ঝারু আস্তানা তৈরি করে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলো। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।