চঞ্চল মাহমুদ ফুলর ::: জ্বালানি পরিবহনে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর ডিপো কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতে সিলেট বিভাগের ডিপোগুলোতে ডিজেল শূণ্যতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটারস, এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখাসহ বিভিন্ন মহল থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ জন্য তারা সিলেটের ডিপো কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন। ওনার্স এসোসিয়েশন বলেছে, ‘শুষ্ক মৌসুমকে সামনে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় কর্মকর্তারা ডিপো জ্বালানি শূণ্য করে সিলেটবাসীর সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। একইভাবে তারা সরকারকেও বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত।’ পক্ষান্তরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)’র ৩টি বিপণন প্রতিষ্ঠান যমুনা ওয়েল কোং, পদ্মা অয়েল কোং এবং মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সিলেটস্থ ডিপো’র ডিএমওরা অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এবং গত ১১ নভেম্বর ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে রেল দূর্ঘটনাকে দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন, এরফলে রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে জ্বালানি ভর্তি ওয়াগন আখাউড়া রেলস্টেশনে আটকা রয়েছে। এ জন্যই সিলেটের ডিপোগুলো জ্বালানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। তবে আজকালের মধ্যেই রেলওয়ের ইঞ্জিন সমস্যা কেটে গেলে সিলেটে ডিজেল সংকট থাকবে না।’ কিন্তু প্রাপ্ত তথ্য মতে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে সিলেটে ডিজেল সংকটের সমাধান হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে বলে এ প্রতিবেদকের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে না। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলে ক্রমশঃ উদ্বেগ বাড়ছে।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি বছর ইরি-বোরো ও শুষ্ক মৌসুমে জ্বালানি পণ্য বিশেষ করে ডিজেলের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ফলে ডিপো কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ফিলিং স্টেশন বা পেট্রোল পাম্পে রেশনিং ব্যবস্থায় জ্বালানি সরবরাহ করে থাকে। তবে প্রতি বছর এ অবস্থার সুত্রপাত হয়, সাধারণতঃ মধ্য ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু চলতি বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ডিজেল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আর এর মুখ্য কারণ হচ্ছে রেলওয়ে ইঞ্জিনের অপ্রতুলতা। কারণ বিপিসি সিলেটে জ্বালানি বিপণন ব্যবস্থায় পুরোপুরি রেলওয়ের উপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় রেল কর্তৃপক্ষ যদি জ্বালানি পরিবহনে খামখেয়ালিপনা করে, তা হলে সিলেট অঞ্চলে চরম জ্বালানি সংকট দেখা দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। যা গত ১১ নভেম্বরের রেল দূর্ঘটনার পর আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তাই সিলেট বিভাগ যে জ্বালানি পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলওয়ের উপর সম্পুর্ণ নির্ভরশীল, এ বিষয়টি অবশ্যই রেল কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে। তবে সচেতন বিভিন্ন মহল রেল কর্তৃপক্ষকে সিলেট বিভাগের জ্বালানি পরিবহনে আরো দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটারস, এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা কামাল সিলেটে ডিজেল সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘শুস্ক মৌসুমে সিলেটে ডিজেল সংকট পুরোনো সমস্যা। কিন্তু ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নেন না। ফলে ডিলার-এজেন্টরা ব্যবসায়য়িকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। পাশাপাশি সরকারের সেবামুলক এ খাতে বিপর্যয় দেখা দেয়। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিপো কর্তৃপক্ষ ডিলারদেরকে ব্রাম্মণবাড়িয়া অথবা আশুগঞ্জ ডিপো থেকে নিজেদের দায়িত্বে ও খরচে ডিজেল সংগ্রহের রাস্তা বাতলে দিয়েছেন। এতে ডিলার-ডিস্টিবিউটররা যে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, সেদিকে ডিপো কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।’ তিনি বলেন, ‘সিলেটে জ্বালানি সেক্টরের ডিপো কর্তাদের মার্কেটিং-এ গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা বিদ্যমান। জ্বালানি সংকট দেখা দিলে ডিপো কর্তারা ডিলারদেরকে জেলা প্রশাসনে চিঠি দিয়ে অবগত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তা যে কতটুকু যৌক্তিক, সেটা তাদের মনে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। অবশ্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছি। রোববার সকালে জেলা প্রশাসন আমাদের পাঠানো চিঠি পেয়েছেন।’
এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘বিগত ১ বছর যাবত সিলেটে ডিজেল সংকট বিদ্যমান। স্বাভাবিকভাবে শুষ্ক মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করে থাকে। কিন্তু সিলেটের ডিপো কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সচেতন বা সতর্ক থাকেন না। তাদের উচিত ছিল, চাহিদাকে সামনে রেখে মজুদ বৃদ্ধিকরণ এবং আপতকালীন মজুদ সৃষ্টি করে রাখা। কিন্তু ডিপো ৩টি’র ডিএমওদের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতায় বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি, ডিপো কর্তারা ইচ্ছে করেই সিলেটকে জ্বালানি শূণ্য রাখার প্রয়াস চালিয়েছেন এবং এভাবেই সিলেটবাসীর সাথে তারা বৈষম্যমুলক আচরণ করছেন। আর তাদের এসব অপকর্ম সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা বলেও আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা এসবের স্থায়ী প্রতিকার চাই।’
এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন আহমেদ ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘জ্বালানি সেক্টরে সিলেটের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডিপো কর্তৃপক্ষ চরমভাবে ব্যর্থ। নানা দোহাই দিয়ে তারা নিজেদের ডিপোতে ডিজেল মজুদ করে রাখেন না। উল্টো আমাদেরকে ব্রাম্মণবাড়িয়া অথবা আশুগঞ্জ থেকে ডিজেল সংগ্রহের পরামর্শ দেন। এতে বলির পাঁঠা হচ্ছেন ডিলার-এজেন্টরা। কারণ, এতদূর থেকে নিজ দায়িত্বে ও অর্থ ব্যয়ে ডিজেল সংগ্রহ করা নিরাপত্তার দিক দিয়েও নেতিবাচক এবং আর্থিকভাবেও বিষয়টি অস্বস্তিকর। বিষয়টি ডিপো কর্মকর্তাদের স্মরণে থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। সিলেটের ডিপোসমুহ জ্বালানি শূণ্য হলেই আমাদেরকে অর্থাৎ ডিলার-ডিস্টিবিউটর বা এসোসিয়েশনকে চিঠি দেয়ার জন্য ডিপো কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমার প্রশ্ন, তাহলে এখানে আপনাদের কাজটা কী? সংকট মোকাবেলায় যদি ডিলার-এজেন্টরা ডিপো কর্মকর্তাদের অবগত করতে হয়, তবে কর্তৃপক্ষ আপনাদের এখানে পোষছেন কেন? তিনি সিলেটের জ্বালানি সংকট দূরীকরণ এবং রেলওয়ের ইঞ্জিন আর ওয়াগন সমস্যা নিরসনে ডিপো কর্মকর্তা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।’
সিলেটে বর্তমানে ডিজেল সংকটের প্রেক্ষাপটে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি সিলেট ডিপোর ডিএমও মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ডিপোগুলো মূলতঃ জ্বালানি পরিবহনে রেলওয়ের উপর নির্ভরশীল। প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রামস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে সিলেটে ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানির ২ থেকে ৩টি চালান আসে। একেকটি চালানে ২৪টি করে ওয়াগন থাকে। এরমধ্যে যমুনা ডিপো পায় ১০টি, পদ্মা ডিপো ৯টি এবং মেঘনা ডিপো পায় ৫টি করে ওয়াগন। এতে আমাদের সরবরাহে কোন ঘাটতি হয় না। কিন্তু সংকটকালে আপতকালীন মজুদ করার মতো ব্যবস্থা সিলেটের ডিপোতে নেই। তাই দুর্যোগকালে আমাদের সংকটে পড়তে হয়।’ তিনি বলেন, ‘সিলেটে নদীপথে জ্বালানি পরিবহনের কোন সুযোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে যমুনা ডিপো অল্প কিছু ডিজেল নদীপথে আনতে পারে। কিন্তু আমরা বা মেঘনার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। আর সড়ক পথে আনতে গেলে পরিবহন খরচ রেলওয়ের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের রেলের উপর নির্ভর থাকতে হয়। তাছাড়া সিলেটের ক্ষেত্রে বিপিসি’র নির্দেশনাও এভাবেই রয়েছে। তবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে ‘দুর্যোগপ্রবণ’ এলাকা হিসেবে সিলেটের জন্য শুধুমাত্র রেলের উপর নির্ভর না হয়ে আশুগঞ্জ বা ব্রাম্মণবাড়িয়া থেকে সিলেট পর্যন্ত পাইপ লাইন স্থাপনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এবং পর পরই ১১ নভেম্বরের কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ট্রেন দূর্ঘটনায় জ্বালানি ক্ষেত্রে সিলেটে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকটের কারণে আখাউড়া স্টেশনে আটকাপড়া ডিজেলের চালান সিলেটে পৌছুতে পারছে না। আশা করছি, রবি বা সোমবারের মধ্যে চালান পৌঁছে গেলে এ সংকট আর থাকবে না। আপতকালীন সময়ে সংকট থেকে মুক্তি পেতে আমি ডিলারদেরকে বড় আকারের ট্যাংকলরি দিয়ে আশুগঞ্জ, ভৈরব বা ব্রাম্মণবাড়িয়া থেকে ডিজেল সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছি। একই সাথে আমি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটারস, এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার নেতৃবৃন্দকে চিঠির মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করারও পরামর্শ দিয়েছি। যতটুকু জেনেছি, তারা ইতোমধ্যেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সিলেটস্থ যমুনা ডিপোর ডিএমও মোঃ আব্দুল বাকী সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এবং ১১ নভেম্বরের কসবার ট্রেন দূর্ঘটনায় সৃষ্ট সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘শিডিউল বিপর্যয়ে এমন অবস্থা হয়েছে। চট্টগ্রামস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ডিজেলের কোন অপ্রতুলতা বা অন্য আর কোন সংকট নেই। শুধুমাত্র রেলওয়ের ইঞ্জিন না থাকায় এ পরিস্থিতি।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে একটু-আধটু ডিজেল সংকট দেখা দেয়। কিন্তু তাও সাময়িক। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রেল দূর্ঘটনার কারণে একটু বেশী আগেই ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। আর এটার মুলে রয়েছে পরিবহণের ক্ষেত্রে রেলওয়ের অপারগতা।’
সড়ক পথে সিলেটে ডিজেল আনা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে সিলেটে ৩টি চালান আসে। আমরা ডিলারদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু গত সপ্তাহে মাত্র ১টি চালান এসেছে। এতে করে আমরা বিপাকে পড়ে গেছি। তবে ২/১ দিনের এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করি।’
‘মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সিলেটস্থ ডিপোর ডিএমও কাজী আনোয়ার হোসেন চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকেবহাল বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সিলেটের মত শ্রীমঙ্গলেও ডিজেল সংকট বিরাজ করছে। তা না হলে, আমরা হয়তো শ্রীমঙ্গল থেকে ডিজেল সংগ্রহ করে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি তাঁদের অবহিত করেছি। আশা করছি, তাঁরা রেলওয়ের ডিজি’র সাথে আলোচনা করে এর একটা সুন্দর সুরাহা করবেন।’
কোম্পানির ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠান সচেতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে সিলেটে পাঠানো প্রতিটি চালানের মধ্যে ২৪টি ওয়াগনের মধ্যে মাত্র দু’টো মেঘনা ডিপোতে দেয়া হতো। কিন্তু বছর দুয়েক আগে ডিলারদের এসোসিয়েশন ২টির বদলে ৫টি ওয়াগনের দাবি করলে কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেন। এর পর থেকে ৫টি ওয়াগনে করে মেঘনা ডিপোতে জ্বালানি আসছে। তিনি শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করেন।’
এদিকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি হুমায়ুন আহমদ এবং সদর দক্ষিণ নাগরিক কমিটি, সিলেট’র সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর মোঃ আজম খান সিলেটের ডিজেল সংকট দূরীকরণে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ও বিরাজমান সিলেট অঞ্চলের রেলওয়ের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্য কোন পন্থায় সিলেট বিভাগের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থারও উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে অবিলম্বে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বলিষ্ট পদক্ষেপ নেবেন বলে সিলেটবাসী প্রত্যাশা করছে।