সিলেট সুরমা ডেস্ক : শহরতলীর মেজরটিলায় মাদকাসক্ত ও বখাটে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যংক কর্মকর্তার নাম লোকমান আহমেদ (৫৩)। তিনি মেজরটিলা (ইসলামপুর) শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদের ছেলে। তিনি জাতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা এবং উত্তরা ব্যাংকের বিশ^নাথ শাখায় কর্মরত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শহরতলীর মেজরটিলার শ্যামলী আবাসিক এলাকার গলির মুখে হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও ব্যাংক কর্মর্কতা লোকমান আহমেদ শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত ‘শ্যামলী সমাজ কল্যাণ সমিতি’র সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। একই এলাকার মৃত তোরাব আলীর মাদকাসক্ত ছেলে নওশাদ আহমদ ও জাহেদ আহমদ, মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে কাজী মাহফুজ মোল্লা ও কাজী মারতুজসহ এলাকার কিছু বখাটে, ইয়াবাসেবী, চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে তাদের এ সমিতিতে স্থান দেয়া সর্বসম্মতিক্রমে হয়নি। সমিতির সভাপতি লোকমান আহমদ এলাকাবাসীদের নিয়ে সবসময় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান করে আসছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সমিতির বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকা-ে বাধা প্রদানের কারণে লোকমান আহমদের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয় এলাকার বখাটেরা। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নওশাদের নেতৃত্বে জাহেদ, কাজী মারতুজ, কাজী মাহফুজসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকমান আহমদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে মাথায় এবং হাতে গুরুতর আঘাত পান লোকমান। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মাথয় আঘাতের ফলে লোকমানের মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৩ তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত ব্যাংক কর্মকর্তা লোকমান আহমদের স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামব।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ।