• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় নেতৃত্বে মওলানা ভাসানীর শূণ্যতা বিরাজমান

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০১৯
জাতীয় নেতৃত্বে মওলানা ভাসানীর শূণ্যতা বিরাজমান

আফ্রো-এশিয়া ল্যাতিন আমেরিকার মেহনতী মানুষের আপোষহীন যোদ্ধা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া মেঘনা বি/১৮ শ্রীহট্ট প্রকাশ বই প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন- মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন দেশের এবং দেশের জনগণের ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ফারাক্কা বাধের বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়েই ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। কিন্তু বর্তমানে দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে ভারতের সাথে একের পর এক চুক্তি করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে দীর্ঘকাল থেকে বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি আদায় করতে না পারলেও ভারতকে ফেনি নদীর পানি দেওয়ার চুক্তি করা হয়েছে। মওলানা ভাসানীর অনুপস্থিতিতে জাতীয় নেতৃত্বে একজন দেশপ্রেমিক এবং যোগ্য অভিভাবকের শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্করের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তোষ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মো. মাসউদ খান বলেন, মওলানা ভাসানী উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা, শ্রমবান্ধব সমাজ বিনির্মাণ এবং নারী শিক্ষার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তৎকালীন সময়েই তিনি মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য ৫টি ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ করেছিলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, বর্তমানে উন্নয়নের নামে কর্মসংস্থানবিহীন উন্নয়ন হচ্ছে, দেশে প্রতিনিয়ত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে এসবের কোন হদিস মিলছে না। নেই কোন জবাবদিহীতা। মওলানা ভাসানী আজীবন এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মোবারক হোসেনের স্বাগত বক্তব্যে সূচীত আলোচনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বজ্রগোপাল চৌধুরী, লেখক জিবলু রহমান, জেলা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মোশাহিদ আহমদ, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সদস্য কয়েছ আহমদ সাগর, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল ইসলাম লেইছ, এডভোকেট সৈয়দ কাওছার আহমদ, সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, ফাউন্ডেশনের সহ-সম্পাদক রুসেল রহমান রীজ, সদস্য আমিন তাহমিদ, আজাদ আহমদ, বাম রাজনীতিক ফখর উদ্দিন চৌধুরী, হোটেল শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা মো. আনসার আলী, মো. সুনু মিয়া, মো. মমিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেনের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এবং এই আলোচনা সভা আয়োজনে সহযোগীতার জন্য শ্রীহট্ট প্রকাশ বই প্রদর্শনীকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।