সিলেট সুরমা ডেস্ক : চায়ের কাপ হাতে রেষ্ট্রুরেন্ট থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাসা বাড়ি আর নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে একটি বিষয় নিয়েই চলছে আলাপ আলোচনা। আর সেটি হচ্ছে ৯ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দক্ষিণ সুরমায় এটাই এই মুহূর্তের আলোচনার বিষয়,অন্যদিকে এই সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ । দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের এই সম্মেলন। তাই পুরো উপজেলায় একটিই প্রশ্ন ? কে আসছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে। সভাপতি ও সম্পাদক পদের জন্য মাঠে নেমেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিরা। প্রার্থীদের মধ্য থেকে তৃণমূলের ভোটাভোটিতে আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহন করুক এমনটিই প্রত্যাশা তৃণমূল নেতাকর্মীদের ।সুত্রমতে ২০০৪ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়। প্রয়াত ডাক্তার আব্দুস শুকুরকে সভাপতি ও হাজী রইস আলী কে সাধারন সম্পাদক করে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়। এই কমিটি এতোদিন ধরে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।তাই দীর্ঘদিন পর অনুষ্টিত সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সভাপতি পদের জন্য যারা লড়ছেন তারা হচ্ছেন-বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, বর্তমান প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব, বর্তমান সদস্য শ্রী তপন চন্দ্র পাল। সাধারন সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন বর্তমান যুগ্ন সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম,মোগলা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সাইস্তা ও প্রয়াত সভাপতি ডাক্তার আব্দুস শুকুর’র পুত্র এ্যাডভোকেট শামীম আহমদ। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থীরা জানালেন সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ সারা জেগেছে।তৃণমূল থেকে দাবী উঠেছে ভোটাভোটি করে মূল নেতৃত্ব নির্বাচন করার।এই জন্যই তারা সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিয়েছেন।