সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট কেন্দ্রিয় ট্রাক টার্মিনালের নামে রাস্তা থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন ট্রাক শ্রমিকরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর, পারাইচক বাইপাস সড়কে রাস্তায় ট্রাক রেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এসময় রাস্তার পাশে শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে।
শ্রমিকরা জানান, সিলেট কেন্দ্রিয় ট্রাক টার্মিনালের নামে ইজারাদাররা পীর হাবিবুর রহমান চত্বরে মাল বুঝাই ট্রাক থামিয়ে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছেন। অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় করার প্রতিবাদ করলে টার্মিনাল ইজারাদার আমাদের হুমকি ধমকি প্রধান করেন। আবার অনেক সময় চাঁদা না দিলে আমাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নিয়ম হলো ট্রাক যখন টার্মিনালে প্রবেশ করবে তখন চাঁদা তোলা। মালামাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন জেলায় যাবার পথে চলমান গাড়ী থেকে টার্মিনালের নামে কেন চাঁদা দাবী করা হচ্ছে।
এ দিকে চাঁদা আদায়ে খবর পেয়ে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পীর হাবিবুর রহমান চত্বরে পৌঁছালে, টার্মিনাল ইজারাদার পক্ষে ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মিয়া ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মিয়া ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি জুবের আহমদকে অস্ত্র দিয়ে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়ে হুমকি দেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পীর হাবিবুর রহমান চত্বরে ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও মোগলাবাজার থানার এস আই রকিব ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার জানান, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা আমরা শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ছিলো। কিন্তু টার্মিনাল নির্মাণের পর যারা এর ইজারা নিয়েছে তারা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আমাদের নিরিহ সাধারণ শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে। ট্রাক টার্মিনাল গাড়ী প্রবেশ করানো ক্ষেত্রে আমরা ইজারাদারকে সব সময় সহযোগিতা করছি। তারপরও তারা সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে রাস্তার উপর থেকে জোর করে চাঁদা তুলছেন। এমন কি আমাদের শ্রমিকসহ নেতা কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাস্তা থেকে চাঁদা আদায় না করার জন্য গত ৬ আগস্ট পুলিশ কমিশনার ও ১৮ সেপ্টেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করি। এ বিষয় নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তীতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।