• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০১৯
উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বাংলাদেশকে নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বলেছে, ব্যাংকটি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
৩৩টি দেশে প্রতিনিধিত্বকারী এডিবি’র পরিচালনা পর্ষদের সফররত ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা ইন-চাং সং বলেন, ‘এডিবি বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে থাকবে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এডিবি’র প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে দ্রুত দারিদ্র্য স্তর হ্রাস ও উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও খাদ্য নিরাপত্তায় অগ্রগতির প্রশংসা করে বলে, ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সংস্থার সমর্থন অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেয়।
এডিবি’র অন্যতম পরিচালক ক্রিস পান্ডে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে পরিবহন, জ্বালানি ও আবাসন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’ এডিবি’র পরিচালক উন্নয়নের স্বার্থে আঞ্চলিক সংযোগ ও সংহতি অব্যাহত রাখারও প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার সরকার গ্রামীণ লোকজন এবং সেই সঙ্গে পল্লী এলাকাকেও দেশের সার্বিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার আগেই কিছু নীতি-কৌশল প্রণয়ন করেছি। এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।’ তিনি বলেন, আমার দল উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় আসার আগেই একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিল এবং ক্ষমতায় আসার পরই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। সরকার একশত ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা জ্বালানী, টেলিযোগাযোগ এবং পরিবহনসহ সকল খাত বেসরকারি সেক্টরের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার উল্লেখ করে বলেন, দেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাত এখন ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, সরকার সুবিধাবঞ্চিত লোকদের দেশের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে বিধবা ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের যতদ্রুত তাদের দেশে পাঠাতে পারব, আমাদের জন্য ততোটাই মঙ্গল হবে। তিনি কানেকটিভিটি সম্পর্কে বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত এবং নেপাল (বিবিআইএন) উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়াতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার ইকোনমিক করিডর রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এডিবি প্রতিনিধিদের মধ্যে এডিবি’র বিকল্প পরিচালক বৈয়রম মুহাম্মেদ গ্যারাজেব, কেনজো ওহে, বুরাক মুজিনোগলু এবং এডিবি’র বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ উপস্থিত ছিলেন।