• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তুহিন হত্যা : বাবা-চাচাসহ ৩ জন রিমান্ডে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০১৯
তুহিন হত্যা : বাবা-চাচাসহ ৩ জন রিমান্ডে

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সুনামগঞ্জে দিরাইয়ে শিশু তুহিন হাসান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবাসহ ৩ জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের আসামিরা হলেন, তুহিনের বাবা আব্দুর বাছির, চাচা আব্দুর মুছাব্বির এবং প্রতিবেশি জমশেদ আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তুহিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশ আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তুহিনের পেটে দুটি ধারালো ছুরি বিদ্ধ ছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কর্তন অবস্থায় ছিল। নিহত তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

অন্যদিকে শিশু তুহিনের পেটে বিদ্ধ দুটি ছুরিতে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছালাতুল ও সোলেমানের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাদের ফাঁসাতে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটনা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। ছালাতুল ও সোলেমান সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

এ ব্যাপারে রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌম চৌধুরী বলেন, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দিরাই উপজেলার মানুষ এর আগে দেখেনি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, ঘটনাটি তদন্ত করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।