• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বড়লেখায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ ৪০জন আহত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০১৯
বড়লেখায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ ৪০জন আহত

সিলেট সুরমা ডেস্ক :  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সালিশ-বৈঠকে বক্তব্য প্রদানে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দাসেরবাজারে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ আনুমানিক ৮০ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের লঘাটি ও সুড়িকান্দি গ্রামবাসীর মধ্যে একটি পূর্ব-বিরোধের ঘটনা মীমাংসার জন্য শনিবার সকাল ১১টার দিকে দাসেরবাজারে বৈঠক ছিল। বৈঠক চলার সময় দুপুর ১২টার দিকে একপক্ষের একজন বক্তব্য রাখতে গেলে অপরপক্ষের একজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষই একে অপরের ওপর আক্রমন করে।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৮০ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস, কনস্টেবল তুহেলসহ উভয়পক্ষে প্রায় ৪০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুলিশসহ আটজন বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ ভর্তি হননি। অন্যরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে আছেন পথচারীসহ উভয়গ্রামের সুমন আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আলতাফ মিয়া, জালাল মিয়া, হাসান মিয়া, জমির আলী, জুনেদ মিয়া, আব্দুস শুকুর, বিলাল আহমদ, ফাহিম আহমদ, বিমান দাস প্রমুখ। সংঘর্ষের সময় বাজারের ছোটবড় প্রায় ২৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মোটর সাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। দাসেরবাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুলিশ এলাকায় অবস্থান করছে। বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক (১০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আনুমানিক ৮০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। সংঘর্ষে বড় কোনো ইনজুরির খবর পাইনি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।’