• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে নারীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ, দুই ভাই ও জামাতা জেলে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১০, ২০১৯
বিশ্বনাথে নারীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ, দুই ভাই ও জামাতা জেলে

সিলেট সুরমা ডেস্ক : পাঁচদিন আগে সিলেটের বিশ্বনাথে আয়ফুল বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যার পর নগদ এক লাখ টাকাও চুরি করা হয়েছে। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগকে রাতে মামলা রজ্জু করেছে পুলিশ।

নিহতের বড়মেয়ে নাসিমা বেগম বাদি হয়ে তার মামাতো বোনের স্বামী নুর উদ্দিনকে (৩৫) একমাত্র আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেছেন, (মামলা নং ৯)। শুক্রবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিহতের (ভাইজির স্বামী) জামাতা নুর উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে নিহত আয়ফুলের দুই ভাই মখলিছ আলী (৬০) ও ইলিয়াস আলীকেও (৪২) ৫৪ ধারায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

তবে, মামলার বাদি নাসিমা বেগম তার দুই মামাকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ ও থানায় মামলা দেওয়াসহ সকল বিষয়ে তাকে সহযোগীতা করায় আসামি নুর উদ্দিন তার দুই মামাকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছে। অন্যদিকে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাও তার দুই মামাকে হয়রানি করতে অযতা জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ আগষ্ট শনিবার রাতে ফুফু শাশুড়ি আয়ফুল বেগমকে প্রথমে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান নূর উদ্দিন। তারপর গলাটিপে হত্যা নিশ্চিত করে এক লাখ টাকা চুরি করে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। আর পরদিন রোববার সকালে নুর উদ্দিনই প্রথমে আয়ফুলের দরজায় কড়া নাড়েন এবং চিৎকার করে অভিনয় করেন। লাশের মুখে রক্ত দেখা গেলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন ভেবে ওইদিন রাতে আয়ফুলের লাশ দাফন করেন স্বজনরা। পরবর্তিতে নুর উদ্দিনের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় নাসিমা তার মামাদের সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, আটককৃত তিনজনের দু’জনকে ৫৪ধারায় আর নুর উদ্দিনকে ওই মালায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত আয়ফুল বেগম দোহাল গ্রামের মৃত রিফাত উল্লাহর মেয়ে। অভিযুক্ত নুর উদ্দিন ছাতকের ভাওয়ালের মৃত মনু মিয়ার ছেলে হলেও দীর্ঘদিন ধরে ফুফু শাশুড়ির সঙ্গে বসবাস করছিলেন। আর মামলার বাদি আয়ফুলের মেয়ে নাসিমা বেগম (৩০) উপজেলার ছোটখুরমা গ্রামের আরশ আলীর স্ত্রী।