সিলেট সুরমা ডেস্ক : জৈন্তাপুরে কথাকাটাকাটির জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৫ টায় নিজপাট যশপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলের সাথে উপজেলা ডৌডিক গ্রামের আব্দুল্লাহ মেম্বারের ছেলে সুফিয়ান এর সাথে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ব এলাকায় কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ এসময় পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়৷ এঘটনাকে কেন্দ্রে রাত ৮টায় একটি পক্ষ সংঘটিত হয়ে দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যশপুর এলাকায় হামলা চালায়৷ এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন gfহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ তারা হলেন যশপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম (৫৫), ইমতাজ আলীর ছেলে আলমগীর (২৫), রেজাইল করিমের ছেলে সেলিম আহমদ (২৫), আব্দুল মালিকের ছেলে মাহফুজুর রহমান রানা (১৬), তার ভাই আব্দুল কাদির(৩০), নজরুল ইসলাম (৩৫) অপর আহতদের নাম জানাযায়নি।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হমদ, সমাজসেবী আব্দুল মতিন শাহিন, নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাট, সহ এলাকাবাসী গন্যমান্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের তাদের বাধা উপক্ষে করে অপরপক্ষ হামলা চালায়৷ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপজেলার চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কানাইঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি মোঃ আব্দুল করিম, জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসিশ্যামল বণিক, ১৭ পরগনার শালিস সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফরি আবুল মওলা চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, বাহারুল আলম বাহার, নিজপাট ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমদ বাবর সহ উপজেলার গন্যমান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে উভয় পক্ষের প্রতিনিধির সাথে আলোচনা চলছে।