প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে দু’টি পৃথক পৃথক গুরুতর গুলিবর্ষণে অন্তত ২৯ জন নিহত ও বেশ কয়েক ডজন লোক আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
৫ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও ওহিওতে ১৩ ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি মারাত্মক গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২৯জন নিহত ও বেশ কয়েক ডজন লোক আহত হওয়ায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি এই বর্বরোচিত সন্ত্রাস ও সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
সন্ত্রাসীদের কোন বর্ণ, জাতি বা ধর্ম নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের একমাত্র পরিচয় তারা সন্ত্রাসী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের ঘোষিত ও অনুসৃত নীতি হচ্ছে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার প্রিয় বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। আমি নিজেও আমার জীবনে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের কাছে এবং তাঁর মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম মার্কিন জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সকলের জন্য বিশেষ করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারবর্গের জন্য আমাদের সহমর্মিতা ও প্রার্থনা রইল। এই মর্মান্তিক ও কঠিন সময়ে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি এবং আমাদের দু’দেশ ও এর বাইরে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় আমাদের সর্বাত্মক সহায়তার প্রস্তাব করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আসুন আমরা ঘৃণা ও কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা বহুগুণ জোরদার করি এবং আমাদের গ্রহ থেকে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের হুমকি নির্মূল এবং এটিকে আগামীর প্রজন্মের জন্য আরো নিরাপদ করে গড়ে তুলতে আমাদের একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি।’
শেখ হাসিনা এই দুই ঘটনায় নিহতদের আত্মার চির শান্তি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মুক্তি কামনা করেন।
ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস)