নিজস্ব প্রতিবেদন
দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে অবস্থান মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের। সড়ক চারলেনে উন্নীত করার সময় এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ওই সময় বলা হয়েছিল নতুন করে চত্বর নির্মাণ করা হবে। কিন্তু তার খবর নেই এখনও। ওই ভাঙ্গা চত্বরে এখন জমে আছে পানি। আর সেই আবদ্ধ পানিতে নিরাপদ আস্তানা ও প্রজননকেন্দ্র গড়েছে মশা।
স্থানীয়রা বলছেন, বিশাল এ চত্বরের জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভাও থাকতে পারে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের হস্তক্ষেপও চান তারা।
সারাদেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সিলেটেও। এজন্য সিসিকের পক্ষ থেকে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চলমান আছে। এমতাবস্থায় সিসিকের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের অদূরের এ চত্বরের আবদ্ধ পানি নিষ্কাশন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক চারলেন উন্নীত করার সময় মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমানে সেখানে গোলাকার করে রাখা হয়েছে। সেখানে আবদ্ধ অবস্থায় পানি জমে আছে। পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। এজন্য তারা দ্রুত পানি নিষ্কাশনসহ মুক্তিযোদ্ধা চত্বরটি পুনরায় নির্মাণের দাবিও জানান।
শুক্রবার বিকেলে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আবদ্ধ অবস্থায় পানিতে ভাসছে মশা। পানি থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। এছাড়া সেখানে কয়েকটি পরিত্যক্ত যানবাহনও পার্কিং করে রাখা আছে।
স্বর্ণশিখা সমাজ কল্যাণ সমিতি কদমতলীর সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের পাশেই সিসিক কাউন্সিলরের কার্যালয়। কিন্তু তিনি এখানকার চিত্রটি দেখেও দেখছেন না। ফলে আবদ্ধ পানিতে মশার বংশবিস্তার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট সিটির ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। কালই সেখানকার পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।