সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। এ ঘটনায় জুনেদ আহমদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন। জুনেদ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ও নয়াপাড়ার বশির মিয়ার ছেলে।
বুধবার রাতে নগরীর আখালিয়া নয়াপাড়ায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পথচারীসহ ৭ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুনিম আহমদের বাসায় গুলি ছোঁড়া হয়। এতে তিনি ও তার মেয়ে আহত হন।
আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের শহীদ নুর হোসেন ব্লকের কর্মী ও সুরমা আবাসিক এলাকার আব্দুল মনিরের ছেলে মারুফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ৫জন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই জুনেদ আহমদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আহত মুনিম আহমদ বলেন, বুধবার রাতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুজেল গ্রুপ ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সুজেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমার বাসা লক্ষ্য করে শর্টগান দিয়ে ৫-৬ রাউন্ড গুলি হয়। এতে আমি ও আমার মেয়ে সামিয়া আক্তার মাইশা আহত হয়। মাইশা স্থানীয় বর্ডার গার্ড স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান তিনি।