• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুলাউড়ায় দুই ভাই মিলে স্কুলছাত্রকে হত্যা!

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০১৯
কুলাউড়ায় দুই ভাই মিলে স্কুলছাত্রকে হত্যা!

সিলেট সুরমা ডেস্ক : কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই মিলে পলাশ শব্দকর (৯) নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশু উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিচিরি এলাকার পরিমল শব্দকরের পুত্র। সে স্থানীয় শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ের ১১টার দিকে স্থানীয় কালিটি চা বাগানের একটি জঙ্গল থেকে শিশু পলাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গত ৩১ জুলাই বুধবার সকাল ১১ টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে যায় পলাশ। এসময় তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মিরজান আলীর পুত্র জায়েদ আলীর সাথে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পায়নি পরিবার। জায়েদকে তার মা বাবা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় পলাশকে দেখেনি। অনেক খুঁজাখোজি করার পর তাকে না পেয়ে পলাশের পিতা পরিমল ওইদিন সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার কুলাউড়া থানার এসআই দিদার উল্লাহ সন্দেহভাজন হিসেবে জায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জায়েদ জানায়, পলাশকে হত্যা করে কালিটি চা বাগানের ১০নং সেকশনের একটি ঝোঁপে তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পলাশের লাশ উদ্ধার করে এবং এঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বালিচিরি গ্রামের মিরজান আলীর পুত্র জায়েদ আলী (১৪), তার চাচাতো ভাই একই এলাকার চাঁন মিয়ার পুত্র রাহেল মিয়া (২০) ও সন্দেভাজন হিসেবে জায়েদের পিতা মিরজান আলী (৪৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পলাশের মা সন্ধ্যা শব্দকর জানান, ‘সকালে খাওয় দাওয়া করে সে। এরপর সকাল ১১টার দিকে বাড়ির সামনের একটি ক্ষেতে জায়েদ আলী ধান রোপণ করছে দেখে আমার ছেলেও জায়েদের সাথে ধান রোপণ করতে যায়। ধান রোপণ শেষে ১২টার দিকে জায়েদের সাথে কালিটি চা বাগানের দিকে যেতে দেখি। ঘণ্টাখানেক পর জায়েদ ফিরে আসলেও আমার ছেলে আসেনি। আমার ছেলে কোথায় জানতে চাইলে জায়েদ আমার ছেলেকে দেখেনি বলে জানায়।’

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, পলাশ হত্যায় আটক জায়েদ ও রাহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও এঘটনায় জায়েদের পিতা মিরজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পলাশের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।