• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কদমতলীতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায় আড়ালে প্রতারণা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ৩০, ২০১৯
কদমতলীতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায় আড়ালে প্রতারণা

সিলেট সুরমা ডেস্ক :  সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায় আড়ালে চলছে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা।  সোমবার প্রশাসনের অভিযানে মিলেছে এক ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্রের সন্ধান। খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ভাইয়ের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনিক ক্ষমতা কাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই চলছে এ লোক ঠকানোর কাজ। আর সে প্রতারণায় জড়িয়ে আছে খোদ স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (২৯ জুলাই) এনএসআই এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার জালিয়াত চক্রের একটি গোডাউনে সাড়াশি অভিযান চালান সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া। সিলেটের কদমতলী এলাকাস্থ মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের পাশে সাইয়িদ ম্যানশনস্থ এ গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনের নাম ‘মেসার্স আক্তার ট্রেড সেন্টার’।

এসময় দোকানের ভিতর প্রায় ৩ শতাধিক খালি সিলিন্ডার ও ৫ টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। তবে গ্যাসভর্তি ৫ টি সিলিন্ডারেই গ্যাস কম পাওয়া যায়। মিলে গ্যাস এক সিলিন্ডার থেকে অন্য সিলিন্ডারে গ্যাস ট্রান্সফারের সরঞ্জামাদি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে মামলার প্রস্তুতি। তবে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কাউকে।

প্রশাসনের এ অভিযানের পর পর দেখা দেয় রহস্য। রহস্যঘেরা লাপাত্তা এ চক্রের মূল হোতা কে তা নিয়ে শুরু হয় প্রশ্ন। তবে সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে অনুসন্ধানে নামে সিলেট ভয়েস। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে প্রতারণার একক নায়ক গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবা উদ্দিন এর ভাই সৈয়দ জিল্লুর রহমানের নাম। যাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার মাফিয়া বলে চিনেন সবাই।

জানা য়ায়, সৈয়দ জিল্লুর গোলাপগঞ্জ বাজারে গড়ে তুলেছেন ‘কল্পনা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি গ্যাস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে উপজেলার সর্বত্রসহ অন্যান্য উপজেলায়ও বিক্রি করেন সিলিন্ডার। তিনি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) থেকে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ক্রয় করে এক সিলিন্ডার থেকে গ্যাস সরবরাহ করেন অন্য সিলিন্ডারে। সিলিন্ডারের গায়ে লাগানো হয় প্রাইভেট গ্যাস বিক্রয়কারী কোম্পানি বসুন্ধরা, টোটালসহ বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ছাড়াই অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা এক সিলিন্ডার থেকে গ্যাস প্রবেশ করান অন্য সিলিন্ডারে। আর সিলিন্ডারপ্রতি লাভ করেন প্রায় ৩ শত টাকা। যে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতে পারে প্রাণহানি। এভাবে তিনি গড়ে তোলেছেন তার প্রতারণার সাম্রাজ্য। আর এ সাম্রাজ্যের একক অধিপতি জিল্লুরই মূলত আক্তার ট্রেড সেন্টারের নেপথ্য মালিক। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির সিলিন্ডার কিনে সেগুলো পুনরায় বাজারে চালান। লাগান ইচ্ছামতো কোন কোম্পানির মনোগ্রাম। আর এ কাজেই ব্যবহার হয়ে আসছিলো কদমতলীর আক্তার ট্রেড নামক প্রতিষ্ঠানটি। নামে আক্তার ট্রেড সেন্টার হলেও কাজ হতো কল্পনা এন্টারপ্রাইজের।

অবশ্য আক্তার এন্টারপ্রাইজের বাহ্যিক সত্ত্বাধিকারী জাকির হোসেন সানিও প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক হিসেবে সৈয়দ জিল্লুর রহমানের নাম বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আর আমার চাচা আক্তার হোসেন মিলে প্রথমে ব্যবসা শুরু করি। পরে আমার চাচা একটি মামলায় জেলে যাওয়ার কারণে প্রায় দেড় বছর দোকানটি বন্ধ ছিলো। তখন আমরা দোকান বন্ধ রেখেও ভাড়া দিয়ে যাই। এই সময়ই মূলত সৈয়দ জিল্লুর আমার সাথে দেখা করেন এবং দোকানটি খুলে উনার গ্যাস সাপ্লাইয়ের কাজ করতে বলেন। তখন আমি অবৈধ এসব কাজে প্রশাসনিক সমস্যার কথা বললে জিল্লুর ভাই বলেন আমার ভাই (সৈয়দ মিসবাহ) শিক্ষামন্ত্রীর মানুষ।

পুলিশ বলো আর যাই বলো সব আমি সামলাবো। পরে উনার কথাতেই আমি দোকানটি খুলি এবং উনার মালে গ্যাস ট্রান্সফারের কাজ করি। উনি ট্রাক ভরে ভরে সিলিন্ডার পাঠান সাথে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) থেকে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার পাঠান, আমি এগুলো অন্য সিলিন্ডারে ট্রান্সফার করে দেই। সরকারি সিলিন্ডার কিনে প্রাইভেট সিলিন্ডারে ভরার কাজ করি। কিন্তু গতকাল রাত্রে আমি বাড়ি যাওয়ার পর শুনি পুলিশ দোকানে তালা দিয়েছে। তখন থেকে আমার মালিক (সৈয়দ জিল্লুর) এর ফোনে কল দেয়া শুরু করি। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।’

এদিকে সোমবার দুপুরে সাইয়িদ ম্যানশনের মালিক কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপনের উপস্থিতিতেই দোকানের তালা খোলা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া। তিনি বলেন, মূলত এনএসআই এর কাছে তথ্য ছিলো এই প্রতিষ্ঠানে সিলিন্ডারে গ্যাস কম দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা এক সিলিন্ডার থেকে অন্য সিলিন্ডারে গ্যাস ট্রান্সফার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে গতকাল (রোববার) রাতে এনএসআই প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর আমাদের জানালে আমরা এনএসআই ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এর সত্যতা পাই। এসময় জব্দকৃত খালি সিলিন্ডারগুলো ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলারের জিম্মায় রেখে পুনরায় প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ করা হয়। এছাড়াও ভরা ৫টি সিলিন্ডার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করেছে পুলিশ। এখন পুলিশ মামলা করবে বলেও জানান তিনি।

২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বলেন, এটা মূলত আমার চাচা মাসুদ বক্স এর মার্কেট। মার্কেটের নামও আমার চাচাত ভাই সাইদ এর নামে।  রাত্রে আমি মূলত গিয়েছিলাম নির্দোষ একটি ছেলেকে ছাড়াতে। এখানে পাশের দোকানের নির্দোষ একটি ছেলেকে আটক করা হয়ে গেছে শোনে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি এনএসআই এই প্রতিষ্ঠানে তালা দিচ্ছে। পরে আজ আবার তারা আমাকে সাথে নিয়েই তালা খোলে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। এসময় প্রায় ৩ শত ৬০টি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। আর মাঝে ৫টি ছিলো গ্যাস ভরা। কয়েকটি মেশিনও পাওয়া যায়। জব্দ সিলিন্ডারগুলো আমার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের (আক্তার ট্রেড) এর ব্যবসার লাইসেন্সও পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

দুপুরে কদমতলী এলাকায় অভিযানের পর দোকানের বর্তমান নামিয় সত্ত্বাধিকারী জাকির হোসেন সানির সাথে কথা বলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামেন সাংবাদিকরা। দিনভর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যায়- গোলাপগঞ্জে একাধিপত্য বিস্তার করা জিল্লুরের ব্যবসার মূল সহায়ক গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। যদিও একাধিক মানুষ এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কিন্তু জিল্লুরের ভয়ে তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি নয়। একাধিকজন জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ থানার এসআই কামাল প্রায় সময় জিল্লুরের গোলাপগঞ্জ বাজারস্থ কল্পনা এন্টারপ্রাইজ নামক মূল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকেন। কিন্তু তিনি এ ব্যবসার সাথে জড়িত কি না তা তারা বলতে পারেননি। তবে তার রাজনৈতিক অনেক ক্ষমতা আছে এমনটি জানালেন সবাই।

যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতারণা : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্য এক সিলিন্ডার ব্যবসায়ী বলেন, ‘জিল্লুর সাহেব রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) থেকে প্রতি সিলিন্ডার ৬৭৫ টাকা দিয়ে কেনেন। এরপর নিজের তৈরি মেশিনের সাহায্যে এসব গ্যাস বিভিন্ন প্রাইভেট কোং এর সিলিন্ডারে ভরে তা ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এমনকি কোন কোন সময় ওজনেও কম দেয়া হয়। সিলিন্ডারে সাড়ে ১২ কেজি ওজন থাকার কথা থাকলেও দেয়া হয় ১১ বা সাড়ে ১১ কেজি। তবুও উনার রাজনৈতিক ক্ষমতার কারণে আমরা বাধ্য হয়েই উনার কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনে নিয়ে বিক্রি করতে হয়। কারণ গোলাপগঞ্জ উপজেলায় উনার বিকল্প আর কেউ ব্যবসা করতে পারে না। অন্য কেউ ব্যবসা করতে চাইলে পুলিশ দিয়ে তাকে বাধ্য করান ব্যবসা বন্ধ করতে।’

কি করে রাজনৈতিক ক্ষমতা : সৈয়দ জিল্লুর রহমান গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন এর ছোট ভাই। সৈয়দ মিসবাহ হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘনিষ্ঠজন। এমনকি কোন কোন সময় নাহিদ সাহেবের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও পরিচিত। তার সাথে ছিলো সাবেক ওসি ফজলুল হক শিবলীর সখ্যতা। এমনকি বর্তমান ওসি মিজানুর রহমান মিজানসহ পুরো উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ সম্পর্ক। তাই ভাইয়ের কারণে প্রশাসন অনেকটা নীরব বলেও জানা যায়। মূলত সাবেক ওসি শিবলির সময়েই সৈয়দ জিল্লুর তার প্রতারণার এ সাম্রাজ্য শক্ত করেন। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করলেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন ‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানান নেই। আমি এ থানায় নতুন এসেছি।’

যেভাবে অন্যদের বাধ্য করা হয় তার কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনে বিক্রি করতে : উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারস্থ খান ট্রেডার্স নামক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শাকির আহমদ প্রতিবেদককে বলেন, ”আমি সৈয়দ জিল্লুর সাহেবের কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনে নিয়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু উনার কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনে নিয়ে বিক্রি করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন গ্যাস কম থাকে। এরপর আমি সরাসরি কোম্পানি থেকে সিলিন্ডার কিনে এনে ব্যবসা শুরু করি। তখন প্রথমে জিল্লুর সাহেব আমাকে উনার কাছ থেকে মাল না কিনার কারণ জানতে চাইলে আমি বলি আমি অবৈধভাবে ক্রেতাদের প্রতারিত করতে পারব না। তখন তিনি আমাকে বলেন আমি কোম্পানি থেকে আনা মাল যেন উপজেলায় বিক্রি না করি। তা না হলে উনি আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবেন। এরপর আমি উনার কথা না শোনায় পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা শুরু করেন। প্রথমে গত ১ তারিখ ওসি সাহেব আমাকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে আমি থানায় যাই। তখন উনি আমার কাছে প্রতি বছরে ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা বলেন। এরপর আমি তাতে রাজি না হলে উনি বলেন, জিল্লুর সাহেব বলতে গেলে একজন মন্ত্রীর ভাই। উনি আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দেন। আর আপনি বলছেন দিবেন না। ঠিক আছে আপনি ৩০ হাজার টাকা দিবেন মাসে। না হয় ব্যবসা করতে পারবেন না। তখন আমি বলি আমি বৈধভাবে ব্যবসা করব আপনাকে কোন টাকা দিতে পারবো না। এরপর গত ১১ তারিখ এসআই কামাল সাহেব কয়েকজন ফোর্স সাথে নিয়ে আমার দোকানে যান। তখন তাদের সাথে করে জিল্লুর সাহেবের দোকান থেকে গ্যাস ট্রান্সফার মেশিন নিয়ে গিয়ে আমার শ্রমিকদের দিয়ে দোকান খুলিয়ে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে তার ভিডিও করেন। পরে আমার শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যেতে চান। তখন হেতিমগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় তাদের ছাড়া হয়। এসআই কামাল সব সময় জিল্লুর সাহেবের কল্পনা এন্টারপ্রাইজে বসে থাকেন। জিল্লুর সাহেবের সাথে উনার সখ্যতা।”

তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বলেন ‘এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নয়।’

তবে সামগ্রিক বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কল্পনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী অভিযুক্ত সৈয়দ জিল্লুর রহমান। সিলেট ভয়েসের পক্ষ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন। ‘এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

তবে সিলিন্ডার প্রতারণা নিয়ে উপজেলা জুড়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটলেও এসব ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রায় অজানা। সবই চলে উনার অগোচরে। তবে এসব ব্যাপারে তিনি জানেন বলেও অনুসন্ধানে উঠে আসেনি। তাই এ ব্যাপারে সিলেট ভয়েসকে তিনি একদম সোজা সাপটা কথাই বললেন। বলেন, ‘আমি সব সময় এসব বিষয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করি। এমন ঘটনা হচ্ছে বলে আমার জানা ছিলো না। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি আরো বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবেই কিছুদিন আগে ডিসি স্যারকে বলেছিলাম। কারণ আমরা যখন কোন অভিযানে যাই তখন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের লোক নিয়েই যাই। তবে সিলিন্ডার প্রতারণার ব্যাপারটি আমার একেবারেই অজানা ছিলো। তাই এতদিন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখন খোঁজখবর নিয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিব।’

তথ্য সূত্র গোলাপগঞ্জের ডাক, লিংক সংযুক্ত