সিলেট সুরমা ডেস্ক : কানাইঘাটে বখাটে স্টাইলে চুল কাটা প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ। সোমবার বিকেল ৪টায় তিনি তার কার্যালয়ে কানাইঘাট বাজারের সকল সেলুন ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় ওসি আব্দুল আহাদ, সেলুন ব্যবসায়ীদের বলেন, কানাইঘাটে ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকদের বখাটেপনা স্টাইলে চুল কাটা সহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং করে না কাটার জন্য সেলুন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। এমনকি বখাটে স্টাইলে চুল কাটার ফ্যাস্টুন সেলুন থেকে সরিয়ে ফেলারও কথা বলেন তিনি। এখন থেকে যারা এসব কথা অবজ্ঞা করে বখাটে স্টাইলে চুল-দাঁড়ি কাটবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বখাটে স্টাইলে চুল কাটার বিষয়ে প্রায় সময়ই ছাত্র ও যুবকদের অভিভাবকরা তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। কারন, ছাত্র ও যুবকরা বিভিন্ন স্টাইলে চুল কেটে বখাটেদের মতো ঘুরাফেরা করে ইভটিজিং সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এবং এসব স্টাইলে মানুষের চেহারার সৌন্দর্য্যের বিপর্যয় ঘটে। এতে করে সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বখাটে মডেলিং স্টাইলে চুল কাটা ও দাঁড়ি কাটা বাঙালি সাংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সভায় উপস্থিত সেলুন মালিকরা বলেন, অনেক তরুণ শিক্ষার্থী ও যুবকরা এসে তাদেরকে বিভিন্ন স্টাইলে চুল ও দাঁড়ি কাটার কথা বলে থাকেন। এতে অনেক সময় তারা এভাবে চুল কাটতে বাঁধা নিষেধ দিলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় অনেকে।
বৈঠক শেষে কানাইঘাট বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী নিশি চন্দ, সুমন চন্দ ও শিমুল চন্দ জানান, ওসি আব্দুল আহাদের কথা তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। এখন থেকে তারা কানাইঘাট বাজারে সেলুন সমিতির মাধ্যমে বিয়ষটি সবাইকে অবগত করবেন এবং বখাটে স্টাইলে চুল-দাঁড়ি কাটা থেকে বিরত থাকবেন। এদিকে থানার ওসি আব্দুল আহাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল সহ অনেকে। উল্লেখ্য, ইদানিং অপরাধ জগতের যারাই পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেরই বখাটে স্টাইলে চুল-দাঁড়ি কাটা রয়েছে। এধরনের স্টাইলে চুল-দাঁড়ি-গোঁফ কেটে অনেকেই ইভটিজিং সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।