সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের সিটি হার্ট শপিং সেন্টারের একাংশের মালিক উস্তার আলীকে মার্কেটের অন্তরায় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ব্যবসায়ীদের হয়রানীসহ নানা অভিযোগ করেছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা উস্তার আলীর কবল থেকে মুক্তি চেয়ে নির্বিঘ্নে ব্যবসার করার দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটি হার্ট মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিটি হার্ট শপিং সেন্টার মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশী হয়রানী ও ব্যবসায়ীক ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছেন। এসব কিছুর মুলে রয়েছেন মার্কেটের একাংশের মালিক উস্তার আলী।
নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী ৭৩ নম্বার বাসার বাসিন্দা মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে উস্তার আধিপত্য বিস্তার করে মার্কেটের সামনে অবৈধ ভাসমান দোকান বসানোসহ মার্কেটের সিঁড়িতে পানের দোকান বসিয়ে মার্কেটের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে আসছেন।
ব্যসায়ীরা প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। গত ৯ জুলাই রাত ১ টার দিকে ডিবি পুলিশ মার্কেটের রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হানিফুর রহমান দুলাল, মার্কেটের সাবেক কেয়ারটেকার রায়হান আহমদ, মার্কেটের মালিক আতাউর রহমানের সহকারী আলীকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করে। পরে ১৬৪ ধারায় আসামী দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
বক্তব্যে বলা হয়, উস্তার আলী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীদের। তিনি নিজেই একজন অপরাধ সিন্ডিকেটের আশ্রয় ও পশ্রয় দাতা। তার সাথে রয়েছেন মার্কেটের সিটি মোবাইল কর্ণারে পরিচালক মাছুম আহমদ, মিরাজ আহমদ, পান দোকানদার রফিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উস্তার মিয়া প্রায় প্রতিদিন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে মার্কেটের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। মার্কেটের কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডরা তাদের বকেয়া প্রায় ১০ হাজার টাকা উস্তার আলীর কাছে পাওনা হলেও তিনি তাদের টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করে আসছেন।
এমনকি উল্টো তাদের টাকা না দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে থাকেন। উস্তার মিয়ার কাছে মার্কেটের সুইপার বিকাশ ৪ মাসের বকেয়া বেতন ১০ হাজার টাকা পায়।
উস্তার মিয়ার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তিনি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিচালক এজাজ আহমেদকে ১০ জুলাই বিকাল ৪ টায় পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি প্রদানসহ মার্কেটে তা প্রচার করেন।
ব্যবসায়ীবৃন্দরা তাদের জান মালের নিরাপত্তা ও উস্তার আলীর অপকর্মের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পুলিশ কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অভিযোগ দাখিল করেছেন উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা জানান, সিটি মেয়র তাৎক্ষনিক মার্কেটের সামন থেকে পানের দোকান সরিয়ে দিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো তদন্ত করা হয়নি। তবে এর আগে উস্তার আলীর একটি অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ সত্যতা পায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সহ সভাপতি সম্রাট মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমদ নুর, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক ছাব্বির আহমদ, অর্থ সম্পাদক শেরদিল আহমদ, সদস্য রুবেল আহমদ, আক্তার হোসেন সায়মন, রিপন মিয়া, পাজন খান, এলওয়ান আহমদ, সুব্রত ভট্রাচার্য্য, সৈয়দ মিলু, শেখ লায়েক আহমদ, তানভীর আহমদ, সাগর, মখলিছ, রায়হান, সাহেদ, শাহীন প্রমুখ।